প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ: গত শুক্রবার র্যাবের হাতে আটক হওয়া জঙ্গি কাওছার আহমেদ ওরফে শিশির ঝিনাইদহের শৈলকুপার হারুনদিয়া গ্রামের মৃত গোলাম কিবরিয়ার ছেলে। দুই বছর আগে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশের পর পরিবারের সদস্যরা জানত সে আর বেঁচে নেই। নিরুদ্দেশের পর পরিবারের সদস্যরা শৈলকুপা থানায় জিডি করতে গেলে তার কোনো ছবি না থাকায় থানায় জিডি করতে পারেনি বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশের আগে সে বাড়িতে গরু পালন করত বলে জানা যায়।
জঙ্গি কাওছারের ভাই কেরামত আলী জানান, তারা ৩ ভাই ও ৫ বোন। কাওছার সবার বড়। ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করত কাওছার। সেখানে বেশ কিছুদিন চাকরি করার পর বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে সে গরুপালন ও কৃষিকাজ শুরু করে। স্থানীয় গাড়াগঞ্জ বাজারে কিছুদিন লেপ তোশকের ব্যবসা করে কাওছার। পরে লেপ তোষকের ব্যবসা ছেড়ে ঝিনাইদহ শহরের এক আত্মীয়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করে সে। এরপর ২০২০ সালের দিকে বাড়ির সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পাওয়া গেলে আমরা ধারণ করি কাওছার মারা গেছে।
কাওছারের মা ঝরনা খাতুন বলেন, গত দুই বছর তার বড় ছেলে কাওছারের কোনো খোঁজ নেই। থানায় জিডি করতে গেলে ছবি না দিতে পারায় জিডি করতে পারিনি। তবে তার ধারণা ছেলে আর বেঁচে নেই বলে ধরে নিয়েছিলেন।
প্রতিবেশী আবদুল মালেক জানান, ছোট থেকে কাওছার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। তার আচার-আচরণ ছিল খুব ভালো। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান কাওছারের পিতা ২০১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। সে প্রথমে পার্শ্ববর্তী গ্রাম হড়রাতে বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর সে ঝিনাইদহ শহরে দ্বিতীয় বিয়ে করে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রাঙামাটি ও বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় র্যাবের অভিযানে আটক জামাতুল আনছারের সদস্য কাওছার ওরফে শিশিরের বাড়ি শৈলকুপার হারুনদিয়া গ্রামে। তাকে নিয়ে তদন্ত চলছে।