বান্দরবান পাহাড়ে শিমের ভালো ফলনে খুশি চাষিরা

প্রতিনিধি, বান্দরবান: বান্দরবানে শিমের চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবার ভালো ফলনে খুশি চাষিরাও। প্রতি বছর শীত মৌসুমে নদীর পাড় ও পাহাড়ের সমতল জায়গায় শিমের চাষ করে থাকেন চাষিরা। দিন দিন পাহাড়ে বাড়ছে শিমের আবাদ কম মূলধন ও স্বল্প পরিশ্রমে অধিক লাভজনক হওয়ায়। তাইতো চারদিকে ছেয়ে গেছে শীতকালীন সবজি শিম। এই শীতকালীন সবজি হিসেবে জনপ্রিয় হওয়ায় বাজারের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। বাজারের চাহিদা থাকায় প্রতিকেজি শিম বাজারে বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। এবারে ভালো ফলনের পাশাপাশি ন্যায্য মূল্যে দাম পাওয়ায় খুশি প্রান্তিক কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তথ্যানুযায়ী, গেল বছরে জেলায় ৬৩৮ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। যা উৎপাদিত মাত্রা ছিল ১০ হাজার ৮৮৭ মেট্রিকটন। চলতি বছরে ৬৪৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এ বছরে উৎপাদিত মাত্রা ১১ হাজার ১০ মেট্রিক টন হতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। সদর উপজেলার গোয়ালিয়া খোলা এলাকার শিম চাষি পারবিনা আক্তার, কামনরুন নাহারসহ কয়েকজন বলেন, আগের বছরের তুলনায় এ বছর শিমের খুবই ভালো ফলন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় পোকার আক্রমণও কম। ব্যবসায়ীরা গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায় এই অঞ্চলে উৎপাদিত শিম। এই মৌসুমে শিম থেকে কয়েক লাখ টাকা লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রেইছা শিমচাষি নজরুল ইসলাম বলেন, এবার তিন একর জমিতে শিমের চাষ করেছেন। সার ও কীটনাশকসহ সবকিছু মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজারের মত। প্রথম ধাপে বিক্রি করে ৪০ হাজার টাকা আয় করেছি। শেষ মুহূর্তে পর্যন্ত শিম বিক্রি করে দেড় থেকে তিন লাখ টাকা পাওয়ার আশা করছি।

বান্দরবানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাসান আলী জানান, আশা করছি, জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি শিম উৎপাদিত হবে। বর্তমানে বাজারে যে দাম রয়েছে সেসব দামে বিক্রি করছেন চাষিরা। ন্যায্যমূল্য দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হতে শিম চাষিদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে।