শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বায়ুদূষণের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চলতি নভেম্বরের শুরু থেকেই দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ছে। এর ফলে এক সপ্তাহে দিল্লির সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণার পর এবার কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়। গতকাল বুধবার বায়ুদূষণ মোকাবিলায় দিল্লির পাশে অবস্থিত পাঁচটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। দিল্লিতে মোট ১১টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বায়ুদূষণ রোধ-বিষয়ক প্যানেলের এক নির্দেশনায় এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। খবর: বিবিসি।
ভারতের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের গতকালের ঘোষণায় অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকের দিল্লি ও আশেপাশের শহরগুলোতে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, বায়ুদূষণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়া ঠেকাতে এসব নির্দেশনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা এ মাসে ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এয়ার কোয়ালিটি সূচকে দিল্লির দূষণের মাত্রা ৫০০ স্কেলের মধ্যে ৪৯৯। এ মাত্রার দূষণে সুস্থ মানুষেরও শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানীগুলোর মধ্যে অন্যতম দিল্লি। প্রতিবছর শীতের শুরুতে তাপমাত্রা নামতে থাকলে দিল্লিতে তীব্র কুয়াশা তৈরি হয়। শহরের বাইরের কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, যানবাহনের ধোঁয়া এবং উš§ুক্তভাবে বর্জ্য পোড়ানোয় এই দূষণ তৈরি হয়।
বায়ুদূষণ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় দিল্লি সরকার আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে কমিশন জানিয়েছে, এ মেয়াদ আরও বাড়তে পারে। কমিশন জানিয়েছে, অন্তত ৫০ শতাংশ সরকারি কর্মচারী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোম করবে।
প্রসঙ্গত, নভেম্বরের শুরুতে দিপাবলি উৎসবকে কেন্দ্র করে দিল্লির আবহাওয়ায় দূষণমাত্রা বেড়ে যায়। এর আগে ভারতের সুপ্রিম কোর্টও বায়ুদূষণ রোধে দিল্লির রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মোতাবেক দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়াল স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণাসহ সরকারি অফিস-আদালতের কাজ বাড়িতে বসে অনলাইনে করার জন্য অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যেতে বাসিন্দাদের নির্দেশ দেয়া হয়।