নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৭৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, ৩১ মার্চ ২০১৭ সমাপ্ত ১৫ মাসের জন্য এ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। গতকাল কোম্পানির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশ বা এক টাকা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ দুই হাজার ৩১৫ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল দুই হাজার ২৯৭ টাকা ৮০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ দুই হাজার ২৯০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩১৬ টাকার মধ্যে হাতবদল হয়। এদিন ১১৮টি শেয়ার মোট ১১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই লাখ ৭১ হাজার টাকা। গত এক বছরে শেয়ারদর এক হাজার ৮৫০ টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে হাতবদল হয়।
কোম্পানির ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৯৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছিল ৬৪ টাকা ৩৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮৬ টাকা ৪২ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ১৪৯ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
২০১৪ সালে ২২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, যা আগের বছরের সমান। ওই সময় ইপিএস ছিল ৪৯ টাকা ৬৪ পয়সা এবং এনএভি ছিল ১৫৪ টাকা চার পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৩৮ টাকা ৬৪ পয়সা ও ১২৬ টাকা ৪১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় ছিল ১১৫ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটি তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই- সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১৩ টাকা ৫৮ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৩১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২২ টাকা ৫২ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৫২ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, যা প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ২৬ টাকা ৪১ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৬১ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসের ইপিএস হয়েছে ১৯ টাকা ৬৬ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ১৯ টাকা তিন পয়সা। তিন মাসে ইপিএস বেড়েছে ৬৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত ১২ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৮২ টাকা ১৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬৪ টাকা ৩৭ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ১৭ টাকা ৮০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত কোম্পানিটির এনএভি ছিল ২৪১ টাকা ৫৯ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ১৮৬ টাকা ৪২ পয়সা। ১২ মাসের এনএভি বেড়েছে ৫৫ টাকা ১৭ পয়সা। কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৩১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৪০টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দুই দশমিক ৯৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৫৮ শতাংশ ও বাকি শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।