নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের খুলশী থানার ঝাউতলা রেলক্রসিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিনুজ্জামান।
তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন ট্রাফিক উত্তর বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল মনির উদ্দিন ও সিএনজি যাত্রী সৈয়দ বাহাউদ্দিন আহমেদ (৩০)। নিহত আরেকজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শাহিনুজ্জামান বলেন, ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ে ষোলশহর থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের দিকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসকে ধাক্কা দেয় একটি ডেমু ট্রেন। এ সময় রেল ক্রসিংয়ের গেটবারটি লাগানো হয়নি। ফলে সিএনজি অটোরিকশা ও বাস রেললাইনে চলে আসে। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ মনির রেললাইন থেকে গাড়িগুলোকে সরানোর চেষ্টা করছিলেন। ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত আটোরিকশাটি ধুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ঝাউতলা এলাকার দোকানদার আরিফ উদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় খুলশীর দিক থেকে রেলের গেটবারটি ফেলা হয়নি। একসঙ্গে তিনটি গাড়ি রেললাইনের ওপরে চলে আসে। পরে ষোল শহরের দিক থেকে আসা ডেমু ট্রেন সেগুলোকে ধাক্কা দেয়। এখানে প্রায়ই ট্রেনের গেটম্যান থাকে না।
রেলওয়ে পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী বলেন, রেল ক্রসিংয়ে গেটবারটি লাগানো হয়নি বলে আমরা শুনেছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল গফুরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। কারও অপরাধ পাওয়া গেলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে গেটম্যান আলমগীর পলাতক।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, ট্রেনের ধাক্কায় তিনজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ ও গেটম্যান না থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।