Print Date & Time : 18 August 2025 Monday 4:06 am

বিআরটি প্রকল্পের আরও সাড়ে চার কিমি ফ্লাইওভার

নিজস্ব প্রতিবেদক; বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের আরও সাড়ে চার কিলোমিটার উড়ালপথ আসন্ন ঈদুল আজহার আগে খুলে দেয়া হতে পারে। এই সাড়ে চার কিলোমিটার উড়ালপথ খুলে দেয়া হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারীদের ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত বছরের ৬ নভেম্বর টঙ্গীর ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে উত্তরার হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার উড়ালপথ যান চলাচলের জন্য উš§ুক্ত করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ৬ এপ্রিল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে বিআরটি প্রকল্পের ওভারপাসও চালু করা হয়।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে, যাতে ঈদের আগেই বিআরটি লেনের কিছু অংশ খুলে দেয়া হয়। নির্দেশনার আলোকে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা রাত-দিন পরিশ্রম করছেন। আশা করছি, দ্রুত উত্তরার জসিমউদ্দীন সড়কের অংশ ও বিমানবন্দর সড়কের উভয় পাশ খুলে দেয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড ফ্লাইওভারও খুলে যাবে। ঈদের আগে এ সড়কে চলাচলে কষ্ট থাকবে না। বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী সহজেই যাতায়াত করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের আগে ভোগরা পর্যন্ত সব স্টেশনের কাজ শেষ করা সম্ভব। জয়দেবপুর ফ্লাইওভারের ৫৪টি পিসি গার্ডারের মধ্যে ৪৭টির স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি মাত্র সাতটি। চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের গার্ডারের বিষয়ে সওজের প্রধান প্রকৌশলীর পর্যালোচনা অনুযায়ী বুয়েটের সঙ্গে আলাপ করে এবং পরিদর্শন শেষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বুয়েট বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে।’

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে সওজের কাজ ১৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে সাতটি ফ্লাইওভার রয়েছে। এর মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্যাকেজের একটি ভ্যারিয়েশন প্রক্রিয়াধীন। সেই ভ্যারিয়েশন অনুযায়ী প্যাকেজের ভৌত অগ্রগতি ৯০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতায় ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণের অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ।

চার হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) অর্থায়ন করছে।