Print Date & Time : 14 September 2025 Sunday 2:36 am

বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে দেশ গিলে খাবে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি থেকে সবাইকে সাবধান হতে হবে। তারা আবার ক্ষমতায় এলে দেশসুদ্ধ গিলে খাবে। গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্যমেলার মাঠে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা মরণকামড় দিয়েছে। মরণকামড় আর জীবনকামড়, যে কামড়ই দেন বলে যাচ্ছি, শান্তিপূর্ণভাবে আসুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত মাথা থেকে নামান। তত্ত্বাবধায়ক আর হবে না। আদালত জাদুঘরে পাঠিয়েছে। আমাদের দোষ নয়, উচ্চ আদালত নিষিদ্ধ করেছে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচনে যাবেন না? যাবেন, যাবেন… গাধা পানি ঘোলা করে খায়। সময় এলে দেখা যাবে?

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশের অর্থনীতি বিএনপি গিলে খেয়েছে। বিএনপি এদেশের মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধ গিলে ফেলেছে। এবার যদি ক্ষমতায় যেতে পারে দেশসহ গিলে ফেলবে! সাবধান! ক্ষমতায় এলে বিএনপি আবারও লুটপাটের রাজনীতি শুরু করবে। আবারও হাওয়া ভবন আনতে তারা ‘টেক ব্যাক’ বাংলাদেশের কথা বলছেন।

বিদেশ থেকে বিএনপির টাকা আসছে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির জন্য দুবাই থেকে টাকা আসছে। খোঁজ পেয়েছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। টাকা ওড়ে আকাশে, টাকা ওড়ে বাতাসে। টাকার খেলা হবে না। খেলা হবে আপনাদের সেই সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষক খুনি ডাকাত সরকার, যাদের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়, গণতন্ত্র নিরাপদ নয়, যাদের হাতে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিরাপদ নয়, তাদের সঙ্গে খেলা হবে। নির্বাচনে খেলা হবে। ভোটচুরির বিরুদ্ধে খেলা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে, তাদের সঙ্গে খেলা হবে। খেলা হবে ভুয়া ভোটার তালিকা করার বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো শক্তি হারাতে পারবে না, ইনশাল্লাহ।

বিএনপির প্রতি ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন করে বলেন, আপনাদের নেতাটা কে? যে  গোপনে মুচলেকা দিয়েছেনÑ‘জীবনে আর রাজনীতি করব না।’ লন্ডনে চলে গেছে কে? সেই তারেক হচ্ছে ফখরুলের নেতা। ফখরুলকে যে ফরমায়েশ দেয়, ফখরুল সেভাবে পুতুলের মতো নাচে। বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতিতে, ক্ষমতায় শেখ হাসিনার মতো সৎ লোক, পরিশ্রমী লোক চায়। মানুষের কষ্টে যার রাতের ঘুম নষ্ট হয়, সেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের শোডাউন ও সাংগঠনিক শক্তির প্রদর্শন করল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সংগঠনটির ঢাকা জেলা সম্মেলন সাধারণত সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে হওয়ার কথা থাকলেও এবার শোডাউন ও সাংগঠনিক শক্তির প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই ঢাকা মহানগরের মধ্যে সম্মেলনের সমাবেশের স্থান বেছে নেয়া হয়।

এ কর্মসূচি সম্মেলন হলেও ঢাকা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা হাজার হাজার জনতার মিছিল থেকে নির্বাচনী  সেøাগান ধ্বনিত হতে থাকে। দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সেøাগানে সম্মেলনের মাঠ ও আশপাশের এলাকা মুখর হয়ে ওঠে।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে সম্মেলনের এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান প্রমুখ।