Print Date & Time : 19 August 2025 Tuesday 2:21 am

বিএনপি নেতারা প্রথম ক্যাসিনো চালু করেছিলেন: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বিএনপির কয়েকজন নেতা বাংলাদেশে প্রথম ক্যাসিনো চালু করেছিলেন’ দাবি করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে ‘সরকারের সমালোচনা করার আগে তাদের বহিষ্কার’ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল (শুক্রবার) ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে ইউনাইডেট ইসলামী পার্টি আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী আলেম-মাশায়েখ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস, মোসাদ্দেক আলী ফালু ও সাদেক হোসেন খোকা এরা ক্যাসিনো চালু করেছিল। যারা ক্যাসিনো পরিচালনা করছেন তারা যেমন দায় এড়াতে পারে না, যারা চালু করেছিল তারাও দায় এড়াতে পারে না। যারা ক্যাসিনো চালু করেছিল তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মদ, জ৩ুয়া বন্ধ করেছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে মদ, জুয়া চালু করে। বিএনপি-জামায়াত যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ক্যাসিনো চালু হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আরও বলেন, ‘আপনাদের দলের যারা ক্যাসিনো চালু করেছিল তাদের দল থেকে বহিষ্কার করেন। তাদের পাশ থেকে সরিয়ে দিয়ে তারপর সমালোচনা করেন, কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছিল। ইসলাম জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। খালেদা জিয়া ইসলামের কথা বলে ভোট নিয়েছে, কিন্তু ইসলামের কোনো চর্চা করেনি।’
‘শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি দিয়েছেন, সারা দেশে উপজেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণ করে দিচ্ছেন, প্রত্যেকটির জন্য ১২ থেকে ২০ কোটি টাকা ব্যয় করে। বিএনপি-জামায়াতের সময় বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্রে রূপ নিয়েছিল। শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে জঙ্গিবাদ দমন করেছেন’ বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের ‘কঠোর হাতে’ জঙ্গিবাদ দমনের কথা তুলে ধরে বিএনপির বিরুদ্ধে এখনও ‘জঙ্গিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার’ অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ।
ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির সভাপতি মাওলানা ইসমাইল হোসেনের সভপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।