বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আওয়ামী লীগ বিশ্বাসী নয় বলে উল্লেখ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির জনক হচ্ছে বিএনপি। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের আগস্ট সাক্ষ্য দিচ্ছে, কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রমাণ করে কারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। গতকাল রাজধানীর সেতু ভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি আরও বলেন, বিএনপির এসব প্রতিহিংসার রাজনীতির বিপরীতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়াসের নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

সব কষ্ট ভুলে উদার রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করতে চায় বলেই পুত্রবিয়োগের শোকে সান্ত¡না দিতে বেগম খালেদা জিয়ার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি নেতাদের এমন উদারতা স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তখন কি অমানবিক আচরণ করেছিলেন আপনারা?

তিনি আরও প্রশ্ন রেখে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, বেগম জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নির্বাচনকে সামনে রেখে, তখনও কী ভাষায় জবাব দিয়েছিলেন আপনারা? তারপরও বিএনপির সঙ্গে দু’দফা সংলাপে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যখন আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করে, আওয়ামী লীগ তখন দেশের ও জনগণের স্বার্থে বিএনপিকে উদারতা দেখিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছে।

সরকার জিয়া পরিবারকে নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে, বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই জানে জিয়া পরিবারের দুঃশাসন আর দুর্নীতির ইতিহাস। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুচলেকা দিয়ে পালানোর রাজনীতিÑএ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি, লুটপাট ও অপকর্মের জন্য এখন বিএনপির নেতাই নির্বাসনে, দেশে আসার সৎ সাহসও নেই।

সবকিছুতে সরকারের দোষ খোঁজা আর দায় চাপানো বিএনপির চিরকালের অভ্যাস ও সংস্কৃতি বলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুদকের মামলায় সস্ত্রীক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এটি আইনগত প্রক্রিয়া। এখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার ও সরকারি দলের অনেকের বিরুদ্ধেও দুদক মামলা করেছে, কারও কারও বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে দুদক স্বাধীন ভূমিকা পালন করছে।