নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিরাজমান বৈশ্বিক সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে দেশবিরোধী ও গণবিরোধী হয়ে উঠেছে। দেশের গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতের চক্রান্ত চালাচ্ছে। সরকার এমন কোনো চাপে নেই যে নির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’ গতকাল গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির নিন্দা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি এই বিবৃতিকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগনির্ভর’ বলে উল্লেখ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানেই সন্ত্রাস সৃষ্টির উসকানি ও রাজপথ দখলের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি। আর তাদের এই চিরায়ত আচরণ দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে সর্বদা বাধাগ্রস্ত করেছে। বৈশ্বিক সংকটে জনগণের পাশে না থেকে বরং তারা দেশ ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত আছে। তাদের অন্তর্নিহিত ফ্যাসিস্ট চরিত্র জনগণের সামনে ফুটে উঠছে এবং তারা যেকোনো উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে, আর সরকারের পদত্যাগের জনবিচ্ছিন্ন দাবি করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের নামে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বরাবরের মতো জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। দেশের যেসব জায়গায় তারা সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাচ্ছে, সেসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ বিরোধী মতকে দমনে বিশ্বাস করে না বলে দাবি করে কাদের বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করা সরকারের অপরিহার্য কর্তব্য। আন্দোলনের নামে কারও ওপর নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনমনে ভীতিসঞ্চার ও ক্ষতিকর কার্যকলাপ সংঘটন করতে দেয়া হবে না। তিনি বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসনির্ভরতা’ ত্যাগ করে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের সংকট মোকাবিলায় সক্ষম হয়েছেন। এই সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনার সরকার জনগণের প্রতি যেসব আহ্বান জানিয়েছেন জনগণ তাতে সাড়া দিয়েছে। বিএনপি বৈশ্বিক সংকট বুঝতে অক্ষম হলেও জনগণ
পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেদের মতো করে সাশ্রয়ী ও সংযমী হচ্ছে। সরকার এমন কোনো চাপে নেই যে নির্বাচিত সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হলো নির্বাচন। আমরা বিএনপিকে বরাবরের মতো আহ্বান জানাবো আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের জনসমর্থন যাচাই করুন।