বিএসএফের গুলিতে আহত ১০ বাংলাদেশি

 

শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাজশাহী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ১০ বাংলাদেশি কৃষক আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত কৃষকদের দাবি, তারা জমিতে কলাই বপন করছিলেন। এ সময় ট্রাকে করে বিএসএফের সদস্যরা এসে ঘটনাস্থলে নেমেই তাদের ওপর গুলি ছোড়েন। আহত কৃষকরা সবাই চর খিদিরপুরের বাসিন্দা। তবে ঘটনাটি ঘটেছে পাশের চর খানপুর সীমান্তে। বিজিবি বলছে, শটগান থেকে গ্রামবাসীর ওপর রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। খবর: প্রথম আলো অনলাইন।
আহত কৃষকরা হলেনÑরুমোন (২৩), সুজন (২৩), সোহেল (২৮), দুলাল (৩৫), রবিউল (৩২), রুবেল (২৫), সম্রাট (২৫), জোটু (৪০), সুরুজ (১৯) ও সুমন (৩০)। চিকিৎসার জন্য তাদের রাজশাহী শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিজিবির রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, শটগান থেকে ছোড়া রাবার বুলেটে কৃষকরা আহত হয়েছেন। এরকম আহত চারজনের ছবি তারা পেয়েছেন। তবে ১০ জন আহত হওয়ার বিষয়টি তারা শুনেছেন।
অধিনায়ক বলেন, ঘটনার শোনার পরেই বিজিবি সদস্যরা গিয়ে বিএসএফকে ঘটনাস্থলেই পেয়েছেন। তাদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে কথা বলেছেন। তারা গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করেছেন। বিএসএফের ভাষ্য, সকালে তিন-চারজন বাংলাদেশি কৃষক ঘাস কাটতে কাটতে বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন। বিএসএফ তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা বিএসএফের উদ্দেশে দা ছুড়ে মারেন। এরপর তারা গ্রামে পালিয়ে আসেন। তারা পরে সংঘটিত হয়ে বিএসএফের ওপর হামলা করতে যান। আত্মরক্ষার জন্য গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য বিএসএফ রাবার বুলেট ছোড়ে। তারা গ্রামবাসীর ছয়টি হাঁসুয়া বিজিবিকে ফেরত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এরকম ঘটনা আর হবে না।
আহত কৃষকদের ভাষ্যমতে, সকালে তারা বাংলাদেশের সীমানার ভেতরেই জমিতে কাজ করছিলেন। তখন বিএসএফের সদস্যরা ট্রাকে করে এসে তাদের ওপর অতর্কিতে শটগানের গুলি ছোড়েন। কৃষক রুমোনের পিঠে ১৭টি, ডান হাতে ১২টি, দুই পায়ে আরও অন্তত ১০টি বুলেট বিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। কৃষক সুজনের পায়ে ১৯টি বুলেট বিদ্ধ হয়েছে। সব ক্ষতস্থান থেকেই রক্ত ঝরতে দেখা গেছে। কৃষক রবিউলের গায়ে গুলি লেগেছে। তারপর তাকে ধরে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে বলে কৃষকদের দাবি। আরেকজন কৃষকের পেটের এক পাশেই সাতটি বুলেট বিদ্ধ হয়েছে।
কৃষকরা জানান, বিএসএফের সদস্যরা বাংলাদেশের সীমানার ভেতরে এসে তাদের কাজ করার হাঁসুয়া ও কোদাল জব্দ করে নিয়ে যান।