শেয়ার বিজ ডেস্ক:কৃষ্ণসাগরে বাধা পাওয়ার পর নতুন বিকল্প পথে শস্য রপ্তানি করার কথা ভাবছে ইউক্রেন। দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ কৃষি কর্মকর্তা জানান, নতুন পথ দিয়ে এরই মধ্যে একটি ছেড়ে গেছে। খবর: রয়টার্স।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো দিয়ে দেশটির খাদ্যশস্য রপ্তানিতে বাধা দিয়েছিল রাশিয়া। এরপর গত মাসে রাশিয়া শস্যচুক্তি থেকে সরে আসার পর কৃষ্ণসাগর দিয়ে যাওয়া ইউক্রেনের যে কোনো জাহাজকে সামরিক নিশানা করারও হুমকি দিয়েছে রাশিয়া।
এতে ফের বাধার মুখে পড়েছে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি। এ পরিস্থিতিতে নতুন বিকল্প পথ ব্যবহারের কথা ভাবছে ইউক্রেন।
রাশিয়া গত মাসে ইউক্রেনের জাহাজগুলোকে সামরিক নিশানা করার হুমকি দেয়ার পরপর ইউক্রেন শস্য রপ্তানির জন্য রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার কাছের পশ্চিম উপকূলীয় সাগরঘেঁষে একটি ‘মানবিক করিডোর’ ঘোষণা করেছিল। যুদ্ধ শুরুর পর গত বছর ওদেসা বন্দরে আটকে পড়া হংকংয়ের পতাকাবাহী একটি জাহাজ গত সপ্তাহে এ পথে ইউক্রেন ছেড়ে গেছে।
ইউক্রেনের কৃষি-বাণিজ্যবিষয়ক সবচেয়ে বড় সংগঠন অ্যাগ্রারিয়ান কাউন্সিলের উপপ্রধান ডেনিস মারচাক জানান, বিকল্প এই পথে এখন পর্যন্ত একটি বাণিজ্যিক জাহাজ ছেড়ে গেছে। এটাই দেখিয়ে দিয়েছে যে, বিকল্প পথ চালুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় কৃষি ব্যবসায় গ্রুপ এই অ্যাগ্রাগিয়ান কাউন্সিল।
মারচাক বলেন, এরপর এ পথে যাবে সম্ভবত আরও সাত থেকে আটটি জাহাজ। এরপর সম্ভবত ভবিষ্যতে এই বিকল্প পথগুলো শস্য ও তেলবীজের মতো পণ্য পরিবাহী জাহাজগুলো চলাচলের করিডোর হয়ে উঠবে।
এ পথটিকেই ভবিষ্যতে শস্য সরবরাহের বিকল্প পথ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন মারচাক।
ব্রিটেনের দৈনিক পত্রিকা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ইউক্রেনের উপ-অর্থমন্ত্রী ওলেকসান্দার গ্রিবানের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানায়, কৃষ্ণ সাগর দিয়ে শস্য পরিবহনের জন্য বিমা সুবিধা পাবে ইউক্রেনের জাহাজগুলো। বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় শস্য উৎপন্নকারী ও রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত ইউক্রেন।