Print Date & Time : 6 September 2025 Saturday 2:37 pm

বিক্রয়চাপ অব্যাহত, লেনদেন ৪০০ কোটির নিচে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে প্রধান প্রধান সূচক পতনের মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেইসঙ্গে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে। ফলে সপ্তাহের তিন কার্যদিবস ধরে বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়চাপের কারণে পতন অব্যাহত রয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতনেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। অপরদিকে এদিন শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল পাট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও এ খাতে পতন হয়েছিল।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।

এদিন খাতটিতে মোট ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ১৪টির দর বেড়েছে, পাঁচটির কমেছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। খাতটিতে মোট চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে একটির দর বেড়েছে এবং একটির কমেছে। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়চাপ থাকায় পাট খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে এক দশমিক ৩০ শতাংশ। এরপরের স্থানে থাকা আইটি খাতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।

গতকাল লেনদেনের দিক দিয়ে সবচেয় বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ভ্রমণ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৪৪২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যার পরিমাণ আগের কার্যদিবসে হয়েছিল ৪৬৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বা ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পাঁচ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৯৬ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক দুই পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক দুই পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৪৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ১৯৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৩৪টির এবং কমেছে ৭৮টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ১৮৩টির।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি আট লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৩১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ২২টির, কমেছে ৪৬টির ও পরিবর্তন হয়নি ৬৩টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ২৭৯ পয়েন্টে।