বিক্রয় চাপে ৭৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর পতন

হাসানুজ্জামান পিয়াস: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ও লেনদেনের বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। দিন শেষে প্রধান সূচক ৫৩ পয়েন্ট কমে স্থির হয়েছে ছয় হাজার ৭১৮ পয়েন্টে। সূচকের পাশাপাশি কমে যেতে দেখা যায় লেনদেন হওয়া ৭৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। দর বেড়েছে ১২ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ এবং ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনের শুরুর দুই ঘণ্টা পর অর্থাৎ দুপুর ১২টা থেকে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের বিপরীতে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতা বেশি ছিল। এ সময় প্রায় ১০০ কোম্পানির শেয়ার ক্রেতাশূন্য হয়ে যায়। এর জের ধরে শেয়ারদর কমতে থাকে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, দেশে বর্তমানে দেশের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা অনিশ্চয়তা ভর করেছে। এর ফলে গতকাল বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীকে মুনাফা তুলতে দেখা গেছে। এ কারণে তৈরি হয়েছে বিক্রয় চাপ।

এদিকে গতকালের মোট লেনদেনে চোখ রাখলে দেখা যায়, এ ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল বস্ত্র খাত। এ খাতটি মোট লেনদেনে ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ অবদান রাখতে সক্ষম হয়। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল আর্থিক খাত। খাতটি লেনদেনে ১৪ দশমিক ২০ শতাংশ অবদান রাখে। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। এটি মোট লেনদেনে ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ অবদান রাখে। এছাড়া মোট লেনদেনে ব্যাংক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতকে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে দেখা যায়। গতকাল ডিএসইতে মোট ৬২০ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটে লেনদেন ছিল প্রায় ৭১ কোটি টাকা। গতকাল এ মার্কেটে মোট ৩৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়।

জানা গেছে, কোম্পানিগুলোর ৯২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩১টি শেয়ার ৮০ বার হাতবদলের মাধ্যমে ৭১ কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২৩ কোটি ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেডের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা ফরচুন শুজের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ চার কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের।