বিচ হ্যাচারির পরিচালক ও বিও হিসাবধারীকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের দুই পরিচালক এবং দুই বেনিফিশিয়ারি ওনারস (বিও) হিসাবধারীকে জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘনের দায়ে বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের পরিচালক ফাহমিদা ইসলামকে দুই লাখ টাকা, করপোরেট পরিচালক মেঘনা শ্রিম্প কালচার লিমিটেডকে পাঁচ লাখ টাকা, বিও হিসাবধারী এসএম মফিদুল হককে ৫০ লাখ টাকা এবং মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৭২ হাজার ৯৭৫টি শেয়ার মোট ৭৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ২০ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়।

এদিকে ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা (লোকসান)। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা।

এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩৬ পয়সা (লোকসান) এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১০ টাকা ১৪ পয়সা। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এ কোম্পানিটি ২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। মোট রিজার্ভের পরিমাণ দুই কোটি ৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির চার কোটি ১৪ লাখ এক হাজার ২১টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৫ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার।