শেয়ার বিজ ডেস্ক: ক্রিপ্টো মার্কেটে বর্তমানে বেশ চাপে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। টানা অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে বিটকয়েনে। তবে ভালো পারফর্ম করছে কয়েকটি অল্টকয়েন। খবর: দ্য ইকোনমিক টাইমস।
নতুন সপ্তাহের শুরুতেও বিটকয়েনে অস্থিরতার চাপ অব্যাহত। গত সোমবার এই ক্রিপ্টোকারেন্সিটিকে একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করে দেখা গিয়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে এই ডিজিটাল কারেন্সিটির প্রতি বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। কয়েকদিন আগে ১ লাখ আট হাজার ডলারের উপরে উঠে গিয়েছিল বিটকয়েনের দাম। কিন্তু বর্তমানে সেই রেকর্ড উচ্চতা থেকে অনেকটা নীচে অবস্থান করছে ডিজিটাল মুদ্রাটি। বর্তমানে ৯৫ হাজার ডলারের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে বিটকয়েনের মূল্য। একাধিক অল্টকয়েনেও অস্থিরতার চাপ লক্ষ্যণীয়। ফলে, সামগ্রিকভাবে সম্পূর্ণ ক্রিপ্টো মার্কেটজুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ বিটকয়েন ৯৪ হাজার ৪৬৫ দশমিক ৬১ ডলারে ট্রেড করছে। এদিন ক্রিপ্টোকারেন্সিটিতে শূন্য দশমিক ৭৮ শতাংশ পতন দেখা গেছে। এ হিসেবে ১ লাখ ৮ হাজার ২৬৮ দশমিক ৫৪ ডলারের রেকর্ড উচ্চতা থেকে এটি প্রায় ১২ শতাংশ পতনের সম্মুখীন হয়েছে। স্পষ্টভাবেই এটি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ভবিষ্যতেও আরও বেশ কিছু সময়ে ক্রিপ্টোকারেন্সিটিতে সংশোধনের চাপ লক্ষ্যণীয় হতে পারে।
অন্যান্য প্রধান অল্টকয়েন যেমন ইথেরিয়াম, এক্সআরপি, সোলানা, কার্ডানো এবং অ্যাভালাঞ্চেও পতনের ধাক্কা দেখা গিয়েছে। এই ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলো সাম্প্রতিক সময়ে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত পতনের সম্মুখীন হয়েছে। তবে, ব্যতিক্রমীভাবে কয়েকটি অল্টকয়েনে ভালো পারফর্ম্যান্সও দেখা গিয়েছে। বিএনবি, ডোজকয়েন, ট্রন, শিবা ইনু এবং টনকয়েনে বৃদ্ধি লক্ষ্যণীয়। এই অল্টকয়েনগুলোয় ৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির সাক্ষী থেকেছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশেষ করে, ডোজকয়েন ও শিবা ইনুর পারফর্ম্যান্স বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে দুর্দান্ত বুল রান লক্ষ্যণীয় হওয়ার পর ক্রিপ্টো মার্কেটে গত সপ্তাহ থেকে অস্থিরতার তীব্র চাপ লক্ষ্যণীয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের পক্ষ থেকে এই ডিজিটাল মুদ্রাটির উপর নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। ফেড স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে নতুনভাবে বিটকয়েন রিজার্ভ তৈরি করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। এই ঘোষণার কারণে বিটকয়েনের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ধাক্কা খেয়েছে। ফলে, বর্তমানে এই ডিজিটাল মুদ্রাটিতে পতনের তীব্র চাপ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের একাংশ মুনাফা নিশ্চিত করার পথে হেঁটেছেন।