বিদেশি বিনিয়োগ টানতে পরিবেশবান্ধব জ্বালানিতে জোর দিতে পারে বাংলাদেশ: সুইডিশ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরিক্রমায় সম্ভাবনাময় পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিশ্চিত করাসহ কীভাবে বিদেশি বিনিয়োগ টানা যায়, সেদিকে বাংলাদেশের মনোযোগ দেয়া উচিত বলে মনে করেন সুইডিশ মন্ত্রী পের ওলসন ফ্রিধ।

ঢাকায় সফররত সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা-বিষয়ক মন্ত্রী রোববার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুস কনসেপ্ট অব সোনার বাংলা, সুইডিশ মডেল অব ওয়েলফেয়ার স্টে অ্যান্ড টকিং দ্য গ্লোবাল চ্যালেঞ্জেস অব টুমোরো’ শীর্ষক আলোচনায় মূল বক্তা ছিলেন তিনি।

আলোচনা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে ওলসন বলেন, মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সুপারিশ পেয়েছে। এখন উচিত নিজেকে বৈদেশিক বিনিয়োগের চমৎকার স্থান হিসেবে তৈরি করতে আরও বেশি কাজ করা। কীভাবে সেটা হতে পারে, সেদিকে আরও নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজে বেসরকারি খাতের মানুষ নই। কিন্তু আমার দেশে বেসরকারি সংস্থাগুলো যা বলে, তাই বলছিÑক্লিন এনার্জি ও সামাজিক সংলাপ যেখানে উপস্থিত সেখানেই তারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ এখানে কাজ করতে পারে।’

বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘গত এক দশকে বাংলাদেশ ও এর জনগণ অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। আমরা এই উন্নয়নের সহযোগী হতে পেরে আনন্দিত।’

১৯৭২ সালে সুইডেন বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। পাঁচ বছর পর দেশটি ঢাকায় দূতাবাস স্থাপন করে।

গত শনিবার এক সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশ পৌঁছান ওলসন। সফরে তিনি সরকারের নানা পর্যায়ের নীতিনির্ধারক ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পাশাপাশি সুইডেনের অনুদানে পরিচালিত দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মসূচি ও উন্নয়ন কাজ দেখবেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবতার খাতিরে ১১ লাখের বেশি মিয়ানমারের নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছে। বিশ্বমানবতা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শুধু মানবিক সহযোগিতা নয়, মিয়ানমারের এই নাগরিকদের টেকসই উন্নয়নের জন্য সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’

ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের জুতা, চামড়াজাত পণ্য ও তৈরি পোশাকের আরও বেশি প্রবেশাধিকারের জন্য সুইডেনের সহযোগিতা চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।