Print Date & Time : 10 September 2025 Wednesday 11:18 am

বিনা নোটিশে সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত নয় : তথ্য উপদেষ্টা

শেয়ার বিজ ডেস্ক : বিনা নোটিশে হুট করে কোনো সাংবাদিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের হল রুমে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গতকাল তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেন, ‘তিনজন সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছে, আমরা এর বিরোধিতা করি। সরকার চায় না কোনো সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হোক। চাকরিচ্যুত করতে হলে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে, নোটিশ দিয়ে করতে হবে। একটি মানুষের জীবিকার ওপর আঘাত আসে, আমরা এমন কিছুর বিরোধিতা করি।’

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দীপ্ত টিভি কোনো নোটিশ পাঠায়নি কাউকে, এমনভাবে টেলিভিশনটি সংবাদ প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল, সারা দুনিয়ায় নিউজ হলো, যেন মনে হলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু সরকার তো বন্ধ করেনি। এটা হঠকারিতা। এটা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। সরকারের নীতিমালা হলো কোনো কিছু বন্ধ করা হবে না। তবে সংবাদমাধ্যম কোনো দলের হয়ে কাজ করেছে কি নাÑসেটা খতিয়ে দেখা হবে।’

মাহফুজ আলম বলেন, ‘সরকারকে প্রশ্ন করতে হবে, সরকারকে প্রশ্ন করলে সরকার দায়িত্বশীল হয়। তবে প্রশ্ন আর প্রোপাগান্ডা ভিন্ন ইস্যু। কয়েকটি পত্রিকা এখনও জুলাই অভ্যুত্থান লেখে না, তারা লেখে জুলাই আন্দোলন, তারা বলে না জুলাই অভ্যুত্থানের সরকার, তারা বলে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের সরকার। এর মানে দাঁড়ায়, এখানে দুই হাজার মানুষ শহিদ হয়নি। একটা চক্রান্ত হয়েছিল, সেখানে হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম এটা করতে পারে না।’

এসব সংবাদমাধ্যম বন্ধ করা হয়নি উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের চোখের সামনে ঘটেছে সবকিছু। গণমাধ্যম এত বড় অভ্যুত্থানকে কেবল আন্দোলন নামে চালিয়ে দিচ্ছে, এটা খুবই হতাশা আর দুঃখজনক।’

কোনো সংবাদমাধ্যমে আজ পর্যন্ত আঘাত করতে দেয়া হয়নি, আর সামনেও হতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে মাহফুজ আলম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ ভয়ংকর-স্মৃতিতে সব সময় এটা লালন করতে হবে। স্মৃতিতে না থাকলে এই কালো অধ্যায় মানুষ ভুলে যাবে। শেখ মুজিব আর শেখ হাসিনার শাসনামল কোনো কালের সঙ্গেই মিলে না।’

আওয়ামী লীগের আমলে যে গণমাধ্যমগুলোর লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল এগুলোর তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা।

মাহফুজ আলম বলেন, ‘এরশাদ স্বৈরাচার হলেও শেখ হাসিনাকে বলা হয় ফ্যাসিস্ট। যার কারণ, এরশাদের লোকবল কম ছিল অথচ আওয়ামী লীগের মুজিব আর হাসিনার সব জায়গায় লোক ছিল, সকল ব্যবস্থায় ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে এই দলটি।’

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পলাতক, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পালিয়ে থাকার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। শেখ হাসিনা ছিল শেখ পরিবারের সর্বশেষ লোক, যিনি পালিয়ে গেছেন। এর আগে শেখ পরিবারের সবাই পালিয়েছে।’