আমান উর রহমান: টানা দুই কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর গতকাল সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় পুঁজিবাজারের লেনদেন। গতকাল বাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দরও বেড়েছে। এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের শীর্ষে উঠে এসেছে পেপার ও প্রিন্টিং খাত। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভ্রমণ ও অবসর খাত। এর পরের স্থানে যথাক্রমে রয়েছে জুট ও সিরামিক খাত।
পুঁজিবাজার পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, গতকাল পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ খাতে ৬টি কোম্পানির মধ্যে ৫টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। যার ফলে গতকাল পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবসর খাতের শেয়ার দর বেড়েছে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। গতকাল ভ্রমণ ও অবসর খাতে লেনদেন হওয়া ৪টি কোম্পানির মধ্যে ৩টির শেয়ার দর বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের দিক থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে জুট খাত। এ খাতের শেয়ারে দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। জুট খাতে তিনটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল যার মধ্যে ২টির দাম বেড়েছে। ২ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়ে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে সিরামিক খাত। গতকাল এই খাতে ৫টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে যার মধ্যে ৩টির দাম বেড়েছে। অপরদিকে শেয়ার দর কমার তালিকায় সবচেয় বেশি দর কমেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের। গতকাল আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে শেয়ার দর কমেছে ১ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বিমা খাত। এ খাতে শেয়ার দর কমেছে ৬০ শতাংশ।
এদিকে টাকার অঙ্কে লেনদেনর শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে বিবিধ খাত। খাতটিতে ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনর ১১ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন করে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৪৭১ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪১৮ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০৬ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে ৩৬৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টির, কমেছে ১৪৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৪টির। গতকাল ডিএসইতে ১ হাজার ৩১৫ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ৮৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা কম। আগের দিনে ডিএসইতে ১ হাজার ৪০০ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।