নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন খাতের কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ উপযোগী অবস্থানে রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সর্বশেষ মূল্য আয় অনুপাতে (পিই রেশিও) এসব খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগ ঝুঁকি কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যেসব খাতে বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশ বিরাজ করছে সেগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ব্যাংকিং খাত। এরপর রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত। এসব খাতের মধ্যে সর্বনিম্ন পিই রেশিও ব্যাংকিং খাতে। এ খাতের পিই রেশিও ১০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। এরপরই মিউচুয়াল ফান্ডের অবস্থান, এ খাতের পিই রেশিও ১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জ্বালানি খাত। খাতটির পিই রেশিও ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ব্যাংকিং খাতের ৩০টি কোম্পানি, ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ড এবং জ্বালানি খাতের ১৮টি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে।
এদিকে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে। ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৬ দশমিক ৩২ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৬ দশমিক ২০ পয়েন্ট। অর্থাৎ আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ১২ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৪ শতাংশ।
খাতভিত্তিক পিই রেশিও পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আর্থিক খাতের পিই রেশিও ৩১ দশমিক ৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৬ দশমিক ১ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৬ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২২ দশমিক ৯ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২৫ দশমিক ৩ পয়েন্টে, বিমা খাতে ১৫ দশমিক ৩ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ২৫ দশমিক ৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে কিছু খাতের পিই রেশিও মাইনাসের অবস্থান করছে। এর মধ্যে পাট খাতের পিই রেশিও মাইনাস ১৬ দশমিক ১ পয়েন্টে, কাগজ খাতের মাইনাস ১১৩ দশমিক ২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া বিবিধ খাতের পিই রেশিও ৩১ দশমিক ৪ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯ দশমিক ৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ২২ দশমিক ৫ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ২৩ দশমিক ২ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ২০ দশমিক ৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ২৭ দশমিক ২ পয়েন্টে এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে পিই রেশিও ২৭ দশমিক ৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সাপ্তাহিক টার্নওভারের বেশিরভাগ কোম্পানি ব্যাংকিং খাতের। এর মধ্যে সিটি ব্যাংক লিমিটেড গত সপ্তাহে টার্নওভার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে। তাছাড়া এ তালিকায় আরও রয়েছে এবি ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। এছাড়া দর বাড়ার তালিকায়ও ব্যাংকিং খাতের প্রাধান্য ছিল। বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশ বিরাজ করার কারণে এসব শেয়ারের লেনদেন বেড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, খাত ভিত্তিক পিই রেশিও যতদিন পর্যন্ত ১৫ এর নিচে অবস্থান করে ততদিন ওই সব খাতের কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ নিরাপদ। আর সে হিসেবে বিনিয়োগ উপযোগী পরিবেশ বিরাজ করছে আলোচিত তিন খাতে।