‘বিনিয়োগ শিক্ষায় পিছিয়ে বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কম। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের দেশে শিক্ষিত বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ শতাংশ, যা অনেক দেশের তুলনায় কম। তবে এটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী।
তিনি বলেন, ‘আশা করা যায় ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সবার মাঝে বিনিয়োগ শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে পারব।’ বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনে গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালকরা যদি নিয়মিত কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে, তাহলে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে। তাদের দায়িত্ব পালনে যেসব সমস্যা হচ্ছে, সেগুলো জানা যাবে। সেক্ষেত্রে কী করা যায়, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। পুঁজিবাজার নিয়ে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানো তখন অনেক সহজ হবে।
তিনি বলেন, এখনও করপোরেট গভার্ন্যান্স তেমনভাবে পালন করা হচ্ছে না। কারণ এখনও আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো ফ্যামিলি গভার্ন্যান্স কালচার থেকে বের হতে পারেনি। এছারা ভবিষ্যতে করপোরেট গভার্ন্যান্স কোডে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ক্ষমতা বাড়ানো হবে বলে জানান বিএসইসি কমিশনার।
বিএসইসির কমিশনার আরও বলেন, ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশনের (আইওএসসিও) নিয়মনীতি অনুসরণ করে এনআরসি কমিটি দেওয়া হয়েছে। চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস ও অডিট ফার্মগুলোতে কঠোরতা গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে এখন একটা প্রত্যাশা ও বিশ্বাসের জায়গা তৈরি হয়েছে।
হেলাল উদ্দিন নিজামী তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আপনারা যদি ভাবেন কোনো ধরনের গভার্ন্যান্স ছাড়াই ব্যবসায় লাভ করা যাচ্ছে, তাহলে শুনে রাখুনÑএটা আর বেশিদিন কার্যকর হবে না। শিগগিরই এ নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু আমাদের দেশে সে সুযোগ নেই। ইস্যুয়ার কোম্পানিতে তাদের স্বতন্ত্র পরিচালক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আগে কোনো নিয়ম ছিল না। এখন নিয়মের আওতায় আনা হচ্ছে।
কর্মশালায় ডিএসইর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল হাশেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মতিন পাটোয়ারিসহ বিএসইসি ও বিভিন্ন কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।