নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা কমে ৭০০ কোটি টাকার ঘরে রয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল চতুর্থ কার্যদিবসে সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল বিমা খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর বেশি বেড়েছে। এ নিয়ে আলোচ্য খাতটিতে টানা উত্থান অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে এদিন বিনিয়োগকারীরর বিমুখ ছিলেন সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ারে। এতে আলোচ্য খাতটির শেয়ারদরে বেশি পতন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল বিমা খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৫৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪৯টির দর বেড়েছে এবং সাতটির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। খাতটিতে মোট চারটি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে একটির দর বেড়েছে এবং দুটির দর অপরিবর্তিত ছিল। শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, ওষুধ ও রসায়ন, আইটি, আর্থিক এবং বিবিধ খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় সেবা খাতের শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। এরপর রয়েছে পাট খাতের শেয়ার। খাতটিতে শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বিমা খাতে। খাতটিতে গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৭ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ লেনদেন হওয়া সাধারণ বস্ত্র খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৭১১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭৪৪ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১০৫টির এবং কমেছে ৬৬টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ১৮৯টির। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৮১ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক ৫০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে দুই হাজার ১৯৩ দশমিক ৩২ পয়েন্টে এবং এক হাজার ৩৬৮ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্টে।
অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৩৭ টাকার শেয়ার। আগেরদিন ১৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ৪৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১২২টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫০৫ দশমিক ২০ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৫৬ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স ১৪ দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩১৫ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে এবং ১১ হাজার ৭৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে।
এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৪৪২ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৬৭ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে।