নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে নামমাত্র সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কমে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটদর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল আইটি খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে স্থানে ছিল। অপরদিকে এদিন নামমাত্র উত্থানেও শেয়ার বিক্রির চাপ বেশি ছিল শুধু বিমা খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল আইটি খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ১১টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৯টির দর বেড়েছে এবং বাকিগুলোর দর অপরিবর্তিত ছিল। দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ২টির দর বেড়েছে এবং ১টির অপরিবর্তিত ছিল। ১ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় স্থানে ছিল পাট খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, সিমেন্ট, ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, সিরামিক, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় বিমা খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ।
অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আইটি খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে থাকা খাদ্য খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বিমা খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ভ্রমণ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৪১১ কোটি ৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৪২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২০৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসইএস সূচক ৩ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক দশমিক ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৪৫ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে ও ২ হাজার ১৯৯ দশমিক ১৪ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ৭৫টি এবং কমেছে ৩৪টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২০১টির।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবসে ৬ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটদর বেড়েছে ৪০টি, কমেছে ২৩টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৬০টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৩ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩০২ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৪৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১৫ দশমিক ৫১ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ১৩ দশমিক ১১ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ১ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৯০ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৭০ দশমিক ৭১ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৫০ দশমিক ১৭ পয়েন্টে।