নিজস্ব প্রতিবেদক:গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারার রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। সরকার ও সরকারি দল বিরোধী দলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে সরকার ও সরকারি দল এখন দিশাহারা। এবার বিজয়ী হয়ে মানুষ ঘরে ফিরবে।
এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার পুরানা পল্টন থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের দ্বিতীয় দিনের পদযাত্রা শুরু হয়। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পদযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন মঞ্চের নেতারা।
পদযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভোটডাকাত ও দুর্নীতিবাজ সরকারকে বিদায় দেয়া হবে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এই সরকার এখন দিশাহারা। এজন্য তারা বিরোধীদের ওপরে হামলা করছে। আগামীতে এদের প্রতিটি অপরাধের বিচার করা হবে।’
সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ধারার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু ঘটেছে। বিরোধীদেরকে তারা রাজনৈতিকভাবে ম্যোকাবিলা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের সমর্থন না থাকায় সন্ত্রাসকে তারা প্রধান অবলম্বন করেছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘হামলা আর গুলি চালিয়ে মানুষকে তারা ভয় দেখাতে চায়, মানুষ যাতে রাস্তায় না নামে। কিন্তু এবার মানুষকে ঘরে আটকে রাখা যাবে না। এই সরকারকে বিদায় দিতে মানুষ রাস্তায় নামছে। এই মানুষেরা গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে সরকারকে বিদায় দেবে।’
সমাবেশ পরিচালনা করেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। পদযাত্রায় আরও অংশ নেন মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া, জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন, নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা বাবুল বিশ্বাস, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা দিদারুল ভূইয়া প্রমুখ।
গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রাটি মতিঝিল-আরামবাগ হয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।