শেয়ার বিজ ডেস্ক: তুরস্কে ইস্তাম্বুলের মেয়র ও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুকে গ্রেফতার করার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটি। প্রধান শহরগুলোর রাস্তাঘাট পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে। খবর: এপি।
বিক্ষোভকারীদের সবার একই ভাষ্য অন্যায়ভাবে ও মিথ্যা অভিযোগে আটক করা হয়েছে মেয়রকে। সে সঙ্গে তাকে দ্রুত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছেন তারা।
দুর্নীতি ও একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তাসহ বেশ কিছু অভিযোগে গত বুধবার ইস্তাম্বুলের মেয়রকে গ্রেফতার করে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। ইমামোগলুর বিরুদ্ধে ঘুষ লেনদেন, টেন্ডার জালিয়াতি ও অপরাধমূলক সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। এছাড়া এ তদন্তের অংশ হিসেবে আরও ১০০ জন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
ইমামোগলুর নামে বিভিন্ন মামলা থাকায় সাত বছরের বেশি কারাদণ্ড এবং রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইমামোগলুকে আটকের পর শহরে চারদিনের জন্য সব ধরনের সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইস্তাম্বুলের গভর্নরের কার্যালয়।
গ্রেপ্তারের পর এক ভিডিওবার্তায় ইমামোগলু বলেছেন, জনগণের ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখা যাবে না। তিনি আরও জানান, তিনি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন।
বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) তাদের নেতার গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে একে তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানচেষ্টা বলে আখ্যা দেয়। কয়েকদিনের মধ্যে দুই দশকের বেশি সময় ধরে তুরস্ক শাসন করে আসা এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ইমামোগলুর নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছিল দলটি।
তাদের প্রার্থীকে গ্রেপ্তারের পর তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দেয় দলটি। সে ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন দলের হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থক। ইস্তাম্বুলের সিটি হলের বাইরে মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতাকর্মীরা।
এছাড়া এ শহরের রাস্তায়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও পাতাল রেলস্টেশনেও সরকারবিরোধী স্লোগান শোনা যাচ্ছে। একই চিত্র দেখা যায় আঙ্কারার রাস্তায়ও।