নিজস্ব প্রতিবেদক: জমাকৃত আমানতের বিপরীতে ঋণ দেয় ব্যাংকগুলো। গ্রাহকের আমানতের নিরপত্তায় আমানতের বিপরীতে নির্দিষ্ট হারে অর্থ সংরক্ষণ করতে হয়। এটি ব্যাংকিং ভাষায় এসএলআর হিসেবে রাখা হয়। এখন এসএলআর-এ ১০০ টাকার বিপরীতে ১৭৫ টাকার সরকারি বন্ড ও বিল কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যাংকাররা।
বর্তমানে এই হার হচ্ছে ১৩৫ টাকা। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন তারা বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, কভিডকালে অতিরিক্ত তারল্য দুই থেকে তিন শতাংশ কাট অফ রেটে সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ করেছে ব্যাংকগুলো। উদ্বৃত্ত তারল্যের বেশিরভাগই সরকারের ট্রেজারি বিল ও বন্ডে আটকে যাওয়ায় নগদ অর্থের সংকট দেখা দিয়েছে।
আগে ইল্ড বা মুনাফার হার ছিল পাঁচ শতাংশ। এখন তা সাড়ে সাত শতাংশে চলে এসেছে। ব্যাংকগুলো এ খাতে বিনিয়োগ করলে সোয়া আট শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা নিতে পারবে। কিন্তু আগের বিনিয়োগ করা অর্থের বিপরীতে আগের মুনাফাই থাকবে। এতে মুনাফার দিক দিয়ে লোকসান হচ্ছে ব্যাংকের। এ নিয়ে গতকাল প্রাইমারি ডিলার (পিডি) ব্যাংকগুলোর সংগঠনের বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এসএলআরের বিপরীতে বর্তমানে ১৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বিল ও বন্ড কেনা যায়। এই হার ১৭৫ শতাংশ করার দাবি করেছেন তারা। একইসঙ্গে সুদহার প্রতি সপ্তাহে পুনর্মূল্যায়নের দাবি করেছেন তারা।
নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি ঋণের চাহিদা মেটায় সব ব্যাংক। কিন্তু প্রাইমারি ডিলার (পিডি) ব্যাংকগুলো সরকারের ঋণের অর্থ জোগান দিতে বাধ্য থাকে। কোনো ব্যাংক ঋণের জোগান দিতে না পারলেও পিডি ব্যাংকগুলোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আবার পিডি ব্যাংকের নগদ অর্থের প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক দিতে বাধ্য থাকে। কিন্তু পিডি ব্যাংকগুলোর নগদ অর্থের পরিমাণ কমে গেছে, যেজন্য চাহিদা অনুযায়ী ঋণ দিতে পারছে না সরকারকে। সুদহার ও ক্রয়ের সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে গতকাল দাবি করেছেন তারা।