বিশেষ আইনের আওতায় মেয়াদ বাড়ছে পাঁচ রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন সময় লাইসেন্স দেয়া পাঁচটি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত অর্থবছর। আপাতত বন্ধ থাকলেও সেগুলোর মেয়াদ আবারও বাড়ানো হচ্ছে পাঁচ বছর। ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান)’ আইন তথা দায়মুক্তির আইনের অধীনে কেন্দ্রগুলোর চুক্তি নবায়ন করতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এজন্য আজ বিশেষ সভার আহ্বান করা হয়েছে।

চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য প্রস্তাবিত কেন্দ্রগুলো হলো ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার, ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার ওরিয়ন পাওয়ার মেঘনাঘাট (সাবেক আইইএল কনসোর্টিয়াম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস), ১০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার ডাচ্-বাংলা পাওয়ার আন্ড অ্যাসোসিয়েটস (ওরিয়ন গ্রুপ), ৪০ মেগাওয়াট সক্ষমতার খুলনা পাওয়ার কোম্পানি (কেপিসিএল-৩) নোয়াপাড়া ও ১১৫ মেগাওয়াট সক্ষমতার কেপিসিএল ইউনিট-২। পাঁচটি কেন্দ্রই ফার্নেস অয়েলচালিত।

সূত্র জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর চুক্তির নবায়নের ক্ষেত্রে দেয়া হবে না কোনো ক্যাপাসিটি পেমেন্ট। ‘নো প্রডাকশন নো পেমেন্ট’ শর্তে কেন্দ্রগুলোর চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে যতটুকু বিদ্যুৎ কেনা হবে, শুধু সেটার জন্যই বিল পাবে কোম্পানিগুলো। এটা মূলত জ্বালানি খরচ। এছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ন্যূনতম বিল পাবে কোম্পানিগুলো। তবে তা আগের চুক্তির চেয়ে কম হবে। এর বাইরে কোনো অর্থ দেয়া হবে না কোম্পানিগুলোকে।

জানতে চাইলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন শেয়ার বিজকে বলেন, ‘নো প্রডাকশন নো পেমেন্ট’ বিদ্যুৎ কেনার শর্তে পাঁচটি রেন্টাল কেন্দ্রের চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেহেতু গ্যাসের সংকট রয়েছে এবং কয়লাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সঠিক সময়ে উৎপাদনে আসেনি, তাই সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে এ কেন্দ্রগুলোর চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে। তবে যতটুকু বিদ্যুৎ কেনা হবে শুধু তার বিল পাবে। এর বাইরে কোনো অর্থ দেয়া হবে না বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে। যদি তারা এ শর্তে রাজি থাকে, তবেই চুক্তি নবায়ন করা হবে।