বিশ্ববাজারে আবার বেড়েছে তেলের দাম

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে গতকাল সোমবার তেলের দাম আবার বেড়েছে। মস্কো সাময়িকভাবে কিছু জ্বালানির রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় বাজারে তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কায় এই মূল্যবৃদ্ধি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়ালে বাজারে তেলের চাহিদা কমে যেতে পারে।

গতকাল সকালে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম ৭১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৯৩ ডলার ৯৮ সেন্টে উঠেছে, যদিও গত শুক্রবার তা ৩ সেন্ট কমেছিল।

ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই ক্রুডের দামও টানা দুই অধিবেশনে বেড়েছে। গতকাল সকালে এই তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে ৯০ ডলার ৬৩ সেন্ট হয়েছে।

রাশিয়া সাময়িকভাবে ডিজেল ও গ্যাসোলিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সেই সঙ্গে ফেড বলছে, সুদহার আরও বেশ কিছুদিন বাড়তি থাকবে। এই বাস্তবতায় অনলাইনে ব্যবসা করা আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সিকামোর বলেন, রাশিয়ার সাময়িকভাবে তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার খবর বাজার ঠিকমতো হজম করতে পারেনি।

বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় এক মাস ধরে বাড়ছে। এর মধ্যে টানা তিন সপ্তাহ বৃদ্ধির পর ফেডের ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার তেলের দাম কিছুটা কমেছিল।

মূলত সৌদি আরব ও রাশিয়ার সরবরাহ হ্রাসের কারণে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ওপেক যে তেল উৎপাদন হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার ওপর আবার রাশিয়া ও সৌদি আরব নিজে থেকে আরও উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে, যা চলতি বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত চলবে। এই বাস্তবতায় তেলের দাম বাড়ছে।

এর মধ্যে গত সপ্তাহে মস্কো নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য সাময়িকভাবে গ্যাসোলিন ও ডিজেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউরোপের শীতকাল শুরুর ঠিক আগে এই ঘোষণা বাজারে এক ধরনের উদ্বেগ তৈরি করেছে।  কারণ শীতকালে ঘর গরম করার জন্য ইউরোপীয়দের বিপুল পরিমাণ জ্বালানির প্রয়োজন হয়। এই জ্বালানির সংকট ইউরোপের জন্য রীতিমতো অশনিসংকেত।