Print Date & Time : 15 September 2025 Monday 3:22 am

বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে আমরাও কমাব: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে দেশের বাজারেও কমানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল সচিবালয়ে নবনিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরে শুনছি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমার একটা প্রবণতা দেখা দিয়েছে। যদি তা কমতে থাকে তাহলে সে অনুসারে দেশে আবার নতুন করে দাম নির্ধারণ করব। কিন্তু তার প্রভাব পড়তে একটু সময় লাগবে। বিশ্ববাজারে দাম কমে গেলে আমাদের দেশেও কমে যাবে।

তিনি বলেন, দাম কমানোর একমাত্র উপায় হলো আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, চিনি ও ডালের দাম কমলে আমাদের দেশে কমানো সম্ভব। এর বাইরে যে অন্যান্য পণ্য রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমার ধারণা সীমিত।

মন্ত্রী বলেন, তেল, চিন, পেঁয়াজ ও ডাল এগুলো সবই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনতে হয়। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে কিনে আনতে যে দাম পড়ে তার ওপর পর্যালোচনা করে আমরা একটা দাম নির্ধারণ করে দিই। আন্তর্জাতিক বাজারে যদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না কমে তাহলে আমরা কমাব কেমন করে? সার্বিকভাবে তো কমানো যায় না। তবে আমরা যেটা পারি, সেটা হলো টিসিবির মাধ্যমে তৃণমূলের মানুষকে ন্যায্য দামে পণ্য পৌঁছানো।

তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম এক-দেড় মাসের মাথায় আরও কমে আবার ৪০ টাকায় চলে আসবে। বর্তমানে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের আমদানি যদি ঠিক থাকে ও ভারত যদি বন্ধ না করে তাহলে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো চিন্তা করছি না। মুড়িকাটা পেঁয়াজও আগামী মাসে উঠবে।

ভ্যাট কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পেঁয়াজ, চিনির ওপর ভ্যাট কমানো হয়েছে। তেলে এখনও কমেনি। তেলে অন্য কোনো কিছু নেই। ভ্যাট ও ট্যাক্স ছিল, সেটার জন্যও বলেছি, দেখা যাক। যদি কমায় তাহলে একটু সুবিধা হতো, সাধারণ মানুষের সাশ্রয় হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের রাজস্বও দরকার আছে। কোথাও তো ব্যালান্স করতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে আপাতত ৩ থেকে ৪ মাসের জন্য ভ্যাট কমালে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। তারপরও দেখা যাক কী হয়।