শেয়ার বিজ ডেস্ক : ধনকুবেরদের তালিকায় ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহীর ইলন মাস্কের দ্রুত উত্থান অব্যাহত রয়েছে। মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের পাশাপাশি বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনীর মুকুট এখন তার দখলে। ব্লুমবার্গ ধনকুবের সূচক অনুযায়ী ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। প্রথম অবস্থানে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। খবর : ব্ল–মবার্গ।
বিশ্বজুড়ে ৫০০ ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করে ব্লুমবার্গ ধনকুবের সূচক। চলতি বছরটাই যেন মাস্কময়। চলতি বছরের শুরুতে ৫০০ জনের তালিকায় তিনি ছিলেন ৩৫ নম্বরে। তার এ উত্থানও স্বাভাবিক নিয়মে হয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির কোম্পানি টেসলার সহপ্রতিষ্ঠাতা মাস্কের ৩৫ নম্বর থেকে দুই নম্বরে উঠে আসার পেছনে যথারীতি চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে শেয়ারের উচ্চমূল্য। হু হু করে টেসলা মোটরের শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
তবে একটু পিছিয়ে পড়েও এই প্রতিবেদন লেখার সময় গেটস সমপরিমাণ সম্পদ নিয়ে আবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন। অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবসায়ীর মতো এলন মাস্কেরও এ বছর ব্যাপক রমরমা যাচ্ছে। তবে সম্পদ বৃদ্ধির দিক থেকে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। এ বছর টেসলার শেয়ারের দাম ৫২৪ শতাংশ বেড়েছে। ফলে ২০২০ সালেই তার সম্পদ বেড়েছে ১০ হাজার ৩০ কোটি ডলার। বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে এবার যে কোটিপতির নাম রয়েছে, তাদের কেউই এ বছর নিজেদের সম্পদ এতটা বাড়াতে পারেননি। টেসলার বাজারমূল্য এখন ৫০ হাজার কোটি ডলার। মাস্কের সম্পদের তিন-চতুর্থাংশই টেসলার শেয়ারের বদৌলতে, যে শেয়ারের দাম তার অন্য কোম্পানি স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিসের (স্পেস এক্স) শেয়ারের চারগুণ। স্পেস এক্স সম্প্রতি নাসার সঙ্গে বড় ধরনের চুক্তি করেছে। একাধারে তিনি মাস্ক ফাউন্ডেশনেরও চেয়ারম্যান, যে প্রতিষ্ঠান নবায়নযোগ্য জ্বালানিবিষয়ক গবেষণায় তহবিল দিয়ে থাকে।
বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সের আট বছরের ইতিহাসে এ নিয়ে দুবার নিজের জায়গা ছাড়তে হয়েছে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে। প্রথমবার তার জায়গা কেড়েছিলেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। গেটস চলে গিয়েছিলেন দুই নম্বরে। তবে এবার প্রথমে মাস্কের কাছে জায়গা ছাড়তে হলেও কিছুক্ষণ পর আবারও তিনি দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন মাস্কের সমপরিমাণ সম্পদ নিয়ে। তবে বিল গেটস জনহিতকর কাজে এত দান-খয়রাত না করলে সম্পদের নিরিখে তাদের সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে পারতেন। বেশ কয়েক বছর আগে গেটস ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস সম্পদের বেশিরভাগই দান করার সিদ্ধান্ত নেন। এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী হচ্ছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। তার সম্পদের পরিমাণ ১৮ হাজার ২০০ কোটি ডলার।