শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্যারিস স্কুল অব ইকোনমিকসের স্বাধীন গবেষণা কেন্দ্র ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ২০০ বিলিয়ন ডলারের কর ফাঁকি দিয়েছে। খবর: ডয়চে ভেলে।
কোটি কোটি মার্কিন ডলার কর ফাঁকি দিতে আগ্রহী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপের বিভিন্ন করস্বর্গ ব্যবহার করে। এতে তাদের মুনাফা বাড়ে, কিন্তু ক্ষতি হয় অন্যদের।
মুনাফা অন্যত্র দেখিয়ে কর ফাঁকি দেয়া এসব সংস্থার ৪০ শতাংশই মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। মুনাফা স্থানান্তরের মাধ্যমে এসব অর্থ সরানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশে সহায়ক প্রতিষ্ঠান চালুর মাধ্যমে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে কর ফাঁকি দিয়ে থাকে।
তারা তাদের মুনাফা এমন দেশে বা অঞ্চলে দেখায় যেগুলো করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত। অর্থাৎ সেসব দেশে কর দিতে হয় না, বা দিলেও সেটার পরিমাণ অনেক কম। দেখা যায়, তারা ব্যবসা করে মুনাফা যে দেশে অর্জন করছে, সেদেশে সেটা না দেখিয়ে যে দেশ করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত, সেখানে মুনাফা দেখায়।
এই প্রক্রিয়ায় নিঃসন্দেহে কর না দেয়া বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো লাভবান হয়। মুনাফা অন্যত্র দেখিয়ে কর ফাঁকি দেয়া এসব সংস্থার ৪০ শতাংশই মার্কিন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। আর কর ফাঁকি দেয়ার এই প্রক্রিয়ায় ক্ষতির শিকার হয় বিভিন্ন দেশের সরকার। সামগ্রিকভাবে গোটা বিশ্বের ওপর এর প্রভাব পড়ে। কারণ সরকারগুলোর তহবিলে অর্থ কম যোগ হয়।
জার্মানি এক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। তবে দেশটি দুর্নীতি প্রতিরোধে বেশ সক্রিয়। কর ফাঁকি বা অন্য যেকোনো দুর্নীতির ক্ষেত্রে তা সমানভাবে প্রযোজ্য। দেশটির মতো অন্যরাও কর ফাঁকি ঠেকাতে পারলে ইউরোপের দেশটির রাষ্ট্রীয় আয় ২০২০ সালে আরও ২৬ শতাংশ বেশি হতো।