মোস্তফা কামাল পাশা: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত। তবে ক্ষতির মাত্রা বা পরিমাণ কিংবা সময়কাল, এর কিছুই আমরা এখনও জানি না। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ফোকাল মন্ত্রণালয় হিসেবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি), জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচিসহ (ইউএনইপি) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরাম ও সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি ও নীতিগত অবস্থান যথাযথভাবে তুলে ধরেছে।
পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে, হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন, বাড়ছে শঙ্কা ও ভয়। প্রাকৃতিক সম্পদের অপরিমিত ব্যবহার ও শিল্পবর্জ্য উদ্গিরণ মূলত এ দুটো কারণেই বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে বিজ্ঞানীরা অভিমত ব্যক্ত করেন; কিন্তু এর সঙ্গে তারা আরও একটি বিষয় যোগ করেন, সেটি হচ্ছে মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত আচরণ। মানুষ তার অবিবেচনাপ্রসূত আচরণের ফলে কারণে-অকারণে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নষ্ট করে চলেছে পরিবেশ ও প্রতিবেশ। গ্রিনহাউজ গ্যাসের ব্যাপক নির্গমনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে ক্রমাগত সৃষ্টি করছে ভয়াবহ পরিস্থিতি। উন্নত দেশগুলোর ভোগবাদী আচরণ অনুন্নত কিংবা স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ঠেলে দিচ্ছে ভোগান্তির দিকে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি কমানোর জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গঠিত ইন্টারগভর্নমেন্টাল নিগোশিয়েটিং কমিটি (আইএনসি) ১৯৯২ সালের ৯ মে ইউএনএফসিসিসি বা জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন গঠন করে। কনভেনশনটিতে রাষ্ট্রগুলোর স্বাক্ষরের জন্য ১৯৯২ সালের জুন মাসে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত হয় আর্থ সামিট বা ধরিত্রী সম্মেলন। জলবায়ু পরিবর্তন কনভেনশনের আওতায় চলমান আন্তঃরাষ্ট্রীয় নেগোসিয়েশন একটি বহুমাত্রিক, বৈচিত্র্যপূর্ণ, জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এখানে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হলে ১৯৫টি সদস্যদেশের সর্বসম্মত ঐকমত্যের প্রয়োজন হয়।
ইউএনএফসিসিসি’র সঙ্গে যুক্ত ৩৯টি উন্নত দেশকে অ্যানেক্স-১ দেশ (উবাবষড়ঢ়বফ ঈড়ঁহঃৎরবং ড়ৎ অহহবী ১ চধৎঃরবং) এবং অবশিষ্ট দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশ বা নন অ্যানেক্স-১ দেশ (উবাবষড়ঢ়রহম ঈড়ঁহঃৎরবং ড়ৎ ঘড়হ-ধহহবী ১ চধৎঃরবং) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কনভেনশনে মূলত উন্নত দেশগুলোকে গ্রিনহাউজ গ্যাস বা কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক, প্রযুক্তিগত ও সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক সহায়তা প্রদান করতে বলা হয়েছে।
আশির দশকের শেষার্ধে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত উন্নতি ও সামর্থ্য, শিল্পায়নের উৎকর্ষ, কার্বননিঃসরণের পরিমাণ তথা উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা বিবেচনা করে তৎকালীন অরগানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের (ওইসিডি) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে অ্যানেক্স-১ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সে সময় বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের প্রায় ৭০ শতাংশের উৎস ছিল এ দেশগুলো। শুধু যুক্তরাষ্ট্র এককভাবেই বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের প্রায় ২৫ শতাংশের জন্য দায়ী ছিল।
ইউএনএফসিসিসি’তে শিল্পোন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের যে অঙ্গীকার বিধৃত হয়েছে, তাকে আরও সুনির্দিষ্ট ও সুসংবদ্ধ করতে এবং আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতায় আনার জন্য ১৯৯৭ সালে সর্বসম্মতভাবে কিয়োটা প্রটোকল গৃহীত হয়। তবে বর্তমানে কিয়োটো প্রটোকলের কার্যকারিতা প্রায় নেই বললেই চলে। কারণ কিয়োটো প্রটোকলের সঙ্গে সংযুক্ত অ্যানেক্স-বি তালিকায় প্রতিটি শিল্পোন্নত দেশের জন্য ভিত্তিবছর ১৯৯০ সালের তুলনায় ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে কী পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ কমবে, তার শতকরা হার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে পৃথিবীর শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে এ প্রটোকলে স্বাক্ষর করলেও পরে কংগ্রেস অনুসমর্থন না করায় দেশটি এ প্রটোকলের বাধ্যবাধকতা থেকে সরে যায়। প্রটোকলের প্রথম পর্যায়ের শেষবর্ষ ২০১২ সালে কানাডাও প্রটোকল থেকে বের হয়ে যায়। অন্যদিকে কিয়োটো প্রটোকলের দ্বিতীয় পর্যায়ের (২০১৩-২০২০) জন্য গৃহীত সংশোধনীতে জাপান, রাশিয়া ও নিউজিল্যান্ড অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। ফলে কিয়োটো প্রটোকলের দ্বিতীয় পর্যায়ের মাধ্যমে বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের শতকরা মাত্র ১৫ ভাগ নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। অবশিষ্ট শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ কোনো ধরনের আইনি বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্ত। কনভেনশনের শর্ত অনুযায়ী ১৪৪টি দেশ কিয়োটো প্রটোকলের সংশোধন অনুসমর্থন না করায় অদ্যাবধি প্রটোকলের দ্বিতীয় পর্যায় কার্যকর হতে পারেনি।
ইউএনএফসিসিসি গঠিত হওয়ার পর বিশ্বের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর তুলনায় বেশ কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও শিল্পায়নের প্রবৃদ্ধি ঘটেছে দ্রুতগতিতে। যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে বর্তমানে পৃথিবীর শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন এবং তৃতীয় শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ ভারত। বিশ্বের প্রথম ২০টি সর্বোচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশের মধ্যে ১০টিই উন্নয়নশীল দেশ। এ অবস্থায় অ্যানেক্স-১-ভুক্ত উন্নত দেশগুলো বর্তমানে পৃথিবীর মোট কার্বন নিঃসরণের প্রায় ৪০ শতাংশের জন্য দায়ী, বাকি প্রায় ৬০ শতাংশের উৎস হলো উন্নয়নশীল দেশ। অন্যদিকে বিশ্বের মোট কার্বন নিঃসরণের প্রায় ৪০ শতাংশ মাত্র দুটি দেশÑমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে উদ্ভূত।
এ অবস্থায় ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠিত ১৭তম জলবায়ু সম্মেলনে এবং ২০১৫ সালে ২১তম প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে একটি ভারসাম্যপূর্ণ, কার্যকর, দীর্ঘমেয়াদি, সবার অংশগ্রহণমূলক ও আইনি বাধ্যবাধকতাযুক্ত সর্বজনীন চুক্তি সম্পাদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য এই প্যারিস চুক্তিটি অত্যন্ত জরুরি ও তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রথম দিনেই ১৯৫টি সদস্যদেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ১৭৫টি দেশ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
জলবায়ু কূটনীতির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে একটি বিষয় বিবেচনায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হচ্ছে ইউএনএফসিসিসি গঠন ও গ্রহণের সময় বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তি গ্রহণের সময়ের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট নিশ্চয়ই এক ছিল না। এই দুটি সময়কালের সংক্ষিপ্ত তুলনামূলক বিশ্লেষণ একটু দেখা যেতে পারে। সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন কনভেনশনের মূল লক্ষ্য ও নীতিমালার আলোকে প্যারিস চুক্তিটি কতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ, ভারসাম্যমূলক ও বাস্তবভিত্তিক হয়েছে, সে দিকটিও দেখা প্রয়োজন।
সম্মেলন শুরুর দিকে উন্নত দেশগুলোর ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিল্পবিপ্লব-পূর্ব সময়ের তুলনায় দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করলেও বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তীব্র দাবির মুখে প্যারিস চুক্তিতে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশ নিচে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; এমনকি এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা গ্রহণের কথাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির কারণে কী ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে, সে বিষয়ে ২০১৮ সালে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রণয়নের জন্য ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জকে (আইপিসিসি) অনুরোধ করা হয়েছে। প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন অগ্রগতি সার্বিকভাবে পর্যালোচনা ও নিরূপণের লক্ষ্যে পাঁচ বছর পরপর লক্ষ্যমাত্রা পুনর্বিবেচনা (ষেড়নধষ ঝঃড়পশঃধশব) করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যার প্রথমটি হবে ২০২৩ সালে।
প্যারিস চুক্তির অন্যতম প্রধান দুর্বলতা হলো বিশ্বের শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোকে এই চুক্তির বাধ্যবাধকতায় আনার জন্য কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যেমনÑমধ্য বা দীর্ঘমেয়াদি গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস, আর্থিক সহায়তাসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদানের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সংখ্যাভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা নিজ নিজ দেশ নির্ধারণ করবে, যা পাঁচ বছর পরপর ন্যাশনালিটি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে কনভেনশন সচিবালয়ে দাখিল করা হবে এবং তার ওপরই বিশ্ব সম্প্রদায়কে নির্ভর করতে হবে।
ইউএনএফসিসিসি’র আওতায় পরিচালিত গত দুই দশকের নেগোসিয়েশনের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে বলা যায় যে, সত্যিকার অর্থে একটি ভারসাম্যপূর্ণ, কার্যকর, দীর্ঘমেয়াদি, সবার অংশগ্রহণ ও আইনি বাধ্যবাধকতাযুক্ত সর্বজনীন চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে প্যারিস চুক্তি একটি ঐতিহাসিক শুভ সূচনা। তবে একটি অনিশ্চয়তা এখনও থেকেই যাচ্ছে, সেটা হলো সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্যারিস চুক্তিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ‘অর্থনৈতিক বোঝা’ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন।
এ রকম একটি আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটেও আমাদের দেশ, আমাদের সরকার কিন্তু বসে থাকেনি। আমাদের দেশের গণমানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু প্রথম থেকেই ব্যক্তিগতভাবে এ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর নেতাদের চেয়েও দায়িত্বশীল আচরণ করেছেন এই ধরিত্রী এবং বাংলাদেশের জন্য। তারই নির্দেশনায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২০০৯ সালে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি সমন্বিতভাবে মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান বা বিসিসিএসএপি প্রণয়ন করে। বিসিসিএসএপি’র আলোকে কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থ ব্যবহার করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ছয় শতাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। আমাদের সরকারের এ ধরনের যুগান্তকারী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীকে ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় জরুরি কিছু নীতিমালা ও রিপোর্ট প্রণয়নের কাজ চলছে; বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাডাপ্টেশন প্ল্যান, ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন, বাংলাদেশ কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান এবং থার্ড ন্যাশনাল কমিউনিকেশন এর মধ্যে অন্যতম। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতিতে নিজেদের আন্তরিকতা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।
পিআইডি প্রবন্ধ