নিজস্ব প্রতিবেদক:‘বি’ থেকে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে উত্তীর্ণ হলো বিমা খাতের কোম্পানি পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। তাই ‘বি’ ক্যাটেগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে গেল কোম্পানিটির শেয়ার। ‘এ’ ক্যাটেগরির অধীনে মঙ্গলবার থেকে তাদের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ২৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৬০ পয়সা।
এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা নিয়ম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটিজের ক্যাটেগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটেগরিতে ওই সিকিউরিটিজ ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে প্রথম ৩০ দিন নিষেধাজ্ঞা জানানো হয়েছে।
এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২১) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩৮ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসের (জানুয়ারি-জুন, ২০২১) হিসেবে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ১৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮১ পয়সা। এছাড়া ২০২১ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৭৪ পয়সা। আর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৭৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮৮ পয়সা।
গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে শূন্য দশমিক ৯১ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৫ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১৪ লাখ ২৫ হাজার ২০ শেয়ার মোট এক হাজার ৪৩৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর সাত কোটি ৮৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৫৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৬ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়।
কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি ৬২ লাখ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক ৪১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং বাকি ৪৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।