বুরকিনা ফাসোয় দুই হামলায় নিহত ২৮

শেয়ার বিজ ডেস্ক : বুরকিনা ফাসোয় পৃথক দুটি হামলার ঘটনায় সেনা ও বেসামরিক নাগরিকসহ অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। সশস্ত্র হামলাকারীরা গত রোববার ও সোমবার এসব হামলা চালিয়েছে। খবর: আল জাজিরা।

এক পৃথক বিবৃতিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটির সেনাবাহিনী ও একজন আঞ্চলিক গভর্নর এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চলে নাইজার সীমান্তের কাছে ফালানগৌতৌতে সামরিক বাহিনীর একটি কমব্যাট ইউনিট হামলার কবলে পড়ে। এতে ১০ সেনা, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর দুই যোদ্ধা ও এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। হামলার পর ঘটনাস্থলে ১৫ হামলাকারীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

আরেক বিবৃতিতে বুরকিনা ফাসোর দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যাসকেডস অঞ্চলের গভর্নর কর্নেল জ্য চার্লস দিত ইয়েনাপোনো সোম জানিয়েছেন, গত রোববার এক হামলার পর ১৫ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, নিহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক।

গভর্নর জানিয়েছেন, সশস্ত্র ব্যক্তিরা দুটি যাত্রীবাহী গাড়ি থামায়। গাড়িগুলোয় আট নারী ও ১৬ পুরুষ ছিলেন। নারীদের ও শুধু একজন পুরুষকে মুক্তি দেয়া হলেও বাকি সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহগুলো লিঙ্গুয়েকোরো গ্রামের কাছে পাওয়া গেছে। তাদের শরীরে গুলির ক্ষত ছিল।

পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলের দেশ বুরকিনা ফাসো এবং এর প্রতিবেশী মালি ও নাইজার আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত সশস্ত্র গোষ্ঠীদের সঙ্গে লড়াই করছে। গোষ্ঠীগুলো দেশটির অনুর্বর ও প্রধানত গ্রামীণ উত্তরাঞ্চলের অনেক অঞ্চল দখল করে শত গ্রামবাসীকে হত্যা করেছে। তাদের কারণে ওই অঞ্চলের প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তারা অনেক গ্রাম ও শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এতে খাদ্য সংকট ক্রমেই তীব্র আকার ধারণ করছে।

প্রসঙ্গত, বুরকিনা ফাসোয় ফ্রান্সের বিশেষ বাহিনীর প্রায় ৪০০ সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। তারা আল কায়েদা ও আইএসআইএলের (আইএস) সঙ্গে সম্পর্কিত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

মূলত ২০১৬ সালে বুরকিনা ফাসোয় সংকট শুরু হয়। ২০১১ সালে লিবিয়ার সরকার পতন, মালির ২০১২ সালের গৃহযুদ্ধ, এরপর মৌরিতানিয়া, নাইজার ও চাদের মতো অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোয়ও সংঘাত ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। এর আগে পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল বুরকিনা ফাসোর।