বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমি ২২.৩৭ শতাংশে উন্নীত:পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেছেন,  চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সাত হাজার ৫০০ হেক্টর ব্লক ও এক হাজার কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান (ছোট ছোট বাগান) এবং ১২ হাজার ২৬৫ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান করার লক্ষ্যে বনায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বনায়ন কার্যক্রম ও বৃক্ষরোপণের ফলে দেশে মোট বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। গতকাল বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে প্রকৃতিবিদ তরুপল্লব ‘দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার-২০২১’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তরুপল্লবের সভাপতি এবং বিপিএটিসির বঙ্গবন্ধু চেয়ার কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত, সিটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান এবং  তরুপল্লবের সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পরিবেশের উন্নয়নে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২০০৯-১০ ও ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত বন বিভাগের মাধ্যমে এক লাখ ৬৩ হাজার ৩৭৮ হেক্টর ব্লক বাগান, ২৬ হাজার ৪৫৩ সিডলিং (চারা) কিলোমিটার স্ট্রিপ বাগান এবং এক হাজার ৫৯ লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করেছে। উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী এবং সমুদ্র ও নদী মোহনা এলাকায় জেগে ওঠা নতুন চর স্থায়ীকরণের লক্ষ্যে বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় ওই সময়ে ৬৮ হাজার ১১৩ হেক্টর ম্যানগ্রোভ বাগান করা হয়েছে।

বড়লেখা, মৌলভীবাজারে জš§গ্রহণকারী নটর ডেম কলেজের সাবেক অধ্যাপক, জীববিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান লেখক, প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মাকে দেশের কৃতী সন্তান উল্লেখ করে বনমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতি ও পরিবেশের উন্নয়নের জন্য তার মতো প্রকৃতিপ্রেমিক নাগরিক এখন অনেক বেশি প্রয়োজন।

প্রকৃতি ও পরিবেশের উন্নয়নে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি দেশের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জীববৈচিত্র্য এবং প্রকৃতি সংরক্ষণের মাধ্যমেই নিশ্চিত করতে হবে বর্তমান এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ। সবার সমবেত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা এ দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হলে দ্বিজেন শর্মার মতো দেশপ্রেমিক প্রকৃতিবিদদের স্বপ্ন সফল হবে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ‘দ্বিজেন শর্মা নিসর্গ পুরস্কার-২০২১’ প্রাপ্তদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন।