বেক্সিমকোর সুকুকের ৫৬ শতাংশ আইপিওতে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) বেক্সিমকোর সুকুকের পুরো অংশ বিক্রি (সাবস্ক্রাইব) হয়নি। তবে সাবস্ক্রিপশনের হার ৫০ শতাংশের বেশি হওয়ায় এর আইপিও বাতিল হবে না। আইপিওর জন্য বরাদ্দ সুকুকের বাকি অংশ এর আন্ডাররাইটারদের মধ্যে ও প্রাইভেট প্লেসমেন্টে বরাদ্দ হবে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রমতে, বেক্সিমকোর তিন হাজার কোটি টাকার সুকুকের ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৭৫০ কোটি টাকার সুকুক আইপিওর জন্য সংরক্ষিত ছিল। এই সুকুক বিক্রির জন্য গত ১৬ আগস্ট আবেদনপত্র জমা নেয়া শুরু হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা নেয়া হয়।
নির্ধারিত সময়ে বিনিয়োগকারীরা ৪২২ কোটি টাকার সুকুক কেনার জন্য আবেদন করেন, যা মোট আইপিওর ৫৬.২ শতাংশ। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (ইলিজিবল ইনভেস্টর) ৩৬০ কোটি টাকার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৬২ কোটি টাকার সুকুক কেনার জন্য আবেদন করেন।

সিকিউরিটিজ আইন অনুসারে কোনো আইপিওর ন্যূনতম ৫০ শতাংশ সাবস্ক্রাইব না হলে ওই আইপিও বাতিল হয়ে যায়। বেক্সিমকোর সুকুক ৫০ শতাংশের বেশি সাবস্ক্রাইব হওয়ায় এই আইপিও বাতিল হচ্ছে না।

শর্ত অনুসারে আইপিওর আন্ডাররাইটাররা ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১৫০ কোটি টাকার সুকুক কিনবেন। সব মিলিয়ে আইপিওতে বরাদ্দ করা হবে ৫৭২ কোটি টাকার সুকুক।
আইপিওর অবশিষ্ট অংশ অর্থাৎ ১৭৮ কোটি টাকার সুকুক প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বরাদ্দ করা হবে। এর ফলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের জন্য সংরক্ষিত সুকুকের পরিমাণ কিছুটা বাড়বে।

উল্লেখ্য, সুকুক হচ্ছে ইসলামি শরিয়াহ্্সম্মত বন্ড। মুসলিম বিশ্বের এটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে এই বন্ডের যথেষ্ট অবদান আছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে। এই বন্ডের মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ মূলত অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।

দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড প্রথমবারের মতো সুকুক ইস্যু করে অর্থ সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। কোম্পানিটি সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে তিন হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে, যা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিনিয়োগ করা হবে।

বেক্সিমকোর সুকুকে বার্ষিক ন্যূনতম মুনাফার হার হবে ৯ শতাংশ। এই সুকুক নির্দিষ্ট মেয়াদে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে।