দিনাজপুর প্রতিনিধি: বেতন ভাতার দাবিতে লকডাউন ভেঙ্গে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রধান ফটক ঘেরাও করেছে, খনিতে চিনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কর্মরত খনি শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (৫ মে) সকাল ৮টা থেকে তারা খনিটির বাণিজ্যিক গেট ঘেরাও করে রাখে।
শ্রমিকরা জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে তাদের ছুটি দেয়া হয়েছে। ছুটি দেয়ার সময় সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ৬০ ভাগ বেতন দেয়ার অঙ্গীকার করে খনি কর্তৃপক্ষ। কিন্ত মঙ্গলবার পর্যন্ত কোন বেতন দেয়নি শ্রমিকদের। এখন শ্রমিকদের ঘরে খাবার নেই। এই কারণে তারা লকডাউন ভেঙ্গে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে।

বড়পুকুরিয়া খনি শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, শ্রমিকরা বেতন পেলে তারা ঘরে থাকতো। কিন্তু এপ্রিল মাসের বেতন পায়নি। কবে পাবে এই বিষয়ে কোন কথা বলছে না কর্তৃপক্ষ। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছে শ্রমিকরা।
খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের বকেয়া বোনাস ও বেতন দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে কয়েক দফা আবেদন করার পরও কোন সাড়া দেয়নি খনি কর্তৃপক্ষ। এই কারণে তারা করোনাভাইরাসের ভয়কে উপেক্ষা করে লকডাউন ভেঙ্গে আন্দোলনে নেমেছেন।
তিনি বলেন, বেতন ভাতা না নিয়ে কোন শ্রমিক ঘরে ফিরবে না। বেতন ভাতা পরিশোধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এই বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকরা বড়পুকুরিয়যা কয়লা খনির ঠিকাদারি চীনা এক্সএমসির অধীনে কর্মরত। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে তাদেরকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করার জন্য খনি কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানিয়েছে। তারা অল্প সময়ের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করবে বলে তিনি জানান।