বেনাপোল স্থলবন্দরের অব্যবস্থাপনা সমাধানে ৭ দিনের আলটিমেটাম

বেনাপোল প্রতিনিধি: আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে অব্যবস্থাপনা আগামী সাত দিনের মধ্য সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠন নেতারা এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্থলবন্দরের অব্যবস্থাপনার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মফিজুর রহমান সজন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সভাপতি নুরুজ্জামান, খাইরুজ্জামান মধু, কামাল উদ্দিন শিমুল, মহসিন মিলন ও জামাল হোসেন।

নেতারা বলেন, বন্দরে জায়গা না থাকায় মালামাল বন্দরের বাইরে রেললাইনের পাশে গর্তসহ যত্রতত্র ফেলে রাখা হচ্ছে। বেনাপোল বন্দর দিয়ে বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার মালামাল আমদানি হয় এবং বন্দর থেকে বছরে সাত হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হলেও বন্দর উন্নয়নে তেমন কোনো মাথাব্যথা নেই কর্তৃপক্ষের। বন্দরে নতুন শেড নির্মাণ, বাইপাস সড়ক নির্মাণ, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ইনটিগ্রেটেড চেকপোস্টের মতো বেনাপোল বন্দরকেও আধুনিকায়নের জোর দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

নেতারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বেনাপোল বন্দর সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর হলেও এটি আজও ডিজিটাইজড করা হয়নি, বসানো হয়নি সিসিক্যামেরা। বন্দরে নেই বিএসটিআই অফিস। কাস্টমস ও বন্দরে রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকট। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শুল্কায়ন আর পণ্য খালাসে ঘটছে বিলম্ব।

তারা জানান, বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ছয় হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে আছে দিনের পর দিন।