‘বেস্ট টিম সাতক্ষীরা’র মোস্তাফিজ ও মিলি গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় কথিত ‘বেস্ট টিম সাতক্ষীরা’র মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সহযোগী স্ত্রী জেলা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট শাহনেওয়াজ পারভিন মিলিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার পরানদহ গ্রামের ট্রলিচালক আলমগীরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত দেড়টার দিকে শহরের পলাশপোলের ভাড়া বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মোস্তাফিজুর রহমান দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের মৃত আবদুল মান্নান বিশ্বাসের ছেলে ও ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন বেস্ট টিমের অ্যাডমিন। তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহানাজ পারভিন মিলি জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

সাতক্ষীরা সদর থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান জানান, মোস্তাফিজুর রহমান ও পারভীন মিলি গত শুক্রবার কুলিয়া গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত মাসুরা খাতুনকে নিয়ে তার স্বামী আলমগীর হোসেনের বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে শোকেজ ও আলমারি ভেঙে নগদ টাকা, জমির দলিল, সোনার গহনা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত রোববার রাতে মোস্তাফিজ ও মিলিসহ পাঁচজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন আলমগীর হোসেন। এ মামলায় মঙ্গলবার ভোাররাত দেড়টার দিকে শহরের পলাশপোলের ভাড়া বাসা থেকে মোস্তাফিজ ও মিলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

সদর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার সকালে মোস্তাফিজুর রহমানকে ডোপ টেস্ট পরীক্ষার জন্য সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকালে ট্রলিচালক আলমগীরের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শিবপুর ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে পরানদহ মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট শাহানাজ পারভীন মিলি ও তাদের সংঘবদ্ধ দলের সদস্য সাতক্ষীরা জেলাসহ খুলনা ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসযোগে সরেজমিনে তদন্তের নামে মানুষকে হয়রানি করে মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজি করে আসছে দীর্ঘদিন।

এদিকে, ‘বেস্ট টিম সাতক্ষীরা’র কর্মকর্তা মোস্তাফিজের ইয়াবা সেবনের ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ নড়েচড়ে বসে। গত ২৯ আগস্ট আলমগীর থানায় একটি অভিযোগ দিলে পরবর্তীতে সদর থানায় মামলা রেকর্ড হয়।