Print Date & Time : 26 August 2025 Tuesday 11:00 pm

বেহাল সড়কে ভরসা ঘোড়ার গাড়ি

রবিউল আউয়াল রবি, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ৮নং দাওগাঁও ইউনিয়নের ৭ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় ভোগান্তির শেষ নেই। এলাকাসহ আশপাশের গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ রয়েছেন দুর্ভোগে। তাদের চলাচল করতে হয় হেঁটে অথবা দুই চাকার যান ঘোড়ার গাড়িতে চেপে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার শেষ সীমানা কাটবওলা হয়ে মহেশপুর, কাঁচারি বাজার, সীমান্ত বাজার, তালতলী বাজার কোনাপাড়া ও টেকিরবাজারসহ পাশের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ এই ত্রিমোহনী গ্রামীণ সড়ক। জনসাধারণকে সরকারি সেবাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সংস্কারের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করেও কোনো লাভ হয়নি। সড়কের এমন বেহাল দশার কারণে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় বসবাসকারী সহস্র মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের এমন দশা থাকলেও কোনো কর্তৃপক্ষকে সড়কটি মেরামত করতে উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি। এ কারণে স্থানীয় ও ব্যবসায়ী মহলের লোকজন চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

এ সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে বছরের পর বছর ভোগান্তির শিকার এসব এলাকার জনসাধারণ স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান, দাওগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মেম্বারের কাছে আবেদন জানালেও সড়কের কোনো উন্নয়ন হয়নি। এছাড়া সড়ক তিনটি মুক্তাগাছা ও ফুলবাড়ীয়া শহরের সঙ্গে পাঁচটি গ্রামের অন্যতম যোগাযোগমাধ্যম।

স্থানীয় সুরুজ আলী শেয়ার বিজকে বলেন, তিনটি কাঁচা রাস্তা সামান্য বৃষ্টিতে একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। কাদায় চলতে গিয়ে অনেকে পা পিছলে পড়ে হাত-পা ভেঙে হাসপাতালে গেছেন।

অপর এক বাসিন্দা আজিজুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই রাস্তার জন্য বারবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারের কাছে আবেদন জানালেও সড়কের কোনো কাজ হয়নি। ঝুঁকি নিয়ে আমাদের প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে এই কাদায় ভরা রাস্তায়। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

দাওগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মজনু সরকার শেয়ার বিজকে জানান, ‘এ রাস্তার বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয়কে মৌখিকভাবে জানিয়েছি, তিনি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন এই রাস্তা পাকা হবে।’

এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আরব আলী জানান, এ বছর রাস্তার কাজ শুরু করার কথা ছিল কিন্তু করোনার কারণে আটকে আছে।

এ বিষয়ে এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী অসিত বরণ দেব বলেন, ‘কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প পাস হলে অচিরে আমরা কাজ শুরু করব।

এ তিনটি সড়ক অত্রগ্রামসহ আশপাশের গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় শিগগির পাকাকরণের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের সুদুষ্টি কামনা করেছেন।