বৈশাখী শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের তাঁতিরা

 

শরীফ আহমদ ইন্না, সিরাজগঞ্জ: পহেলা বৈশাখকে ঘিরে সিরাজগঞ্জের তাঁতরা ব্যস্ত নানা রংয়ের শাড়ি তৈরিতে। দিনরাত খটখট আওয়াজ জেলার এনায়েতপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর এবং সয়দাবাদের তাঁতপল্লীতে।

বৈশাখ উপলক্ষে মন ভোলানো শাড়িতে তৈরিতে ঢাক ঢোলসহ নানান প্রতীক সংবলিত নকশা ব্যবহার করা হচ্ছে। বাহারি ডিজাইন ও উন্নত সুতা দিয়ে তৈরি করায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে সিরাজগঞ্জের শাড়ির চাহিদা। ২০০ থেকে দুই হাজার টাকা দামের এসব শাড়ি কিনতে তাঁতি বাড়িতে ভিড় করছেন বেপারীরা। এ উৎসবে সিরাজগঞ্জে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার শাড়ি বেচাকেনার আশাবাদ তাঁতিদের।

কাপড়ের বেপারী নূর মোহাম্মদ বলেন, আমরা শাহজাদপুর থেকে সয়দাবাদে এসেছি বৈশাখী শাড়ি কেনার জন্য। খুচরা বাজারে বৈশাখের বাজার এখনও শুরু হয়নি। তবে পাইকারি বাজারে কাপড়ের চাহিদা আছে প্রচুর। প্রতিবছর ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার কাপড় কিনে তা খুচরা বাজারে বিক্রি করি। তাতে আমার এক থেকে দেড় লাখ টাকা লাভ হয়।

কাপড় ব্যবসায়ী শামসুল আলম বলেন, সিরাজগঞ্জের তৈরি বৈশাখী শাড়ির কদর দেশজুড়ে রয়েছে। যেহেতু মৌসুমি ব্যবসা এজন্য কাপড় তৈরি করতে প্রচুর টাকা লাগে। কোনো ব্যাংক থেকে অল্প সুদে আর্থিক সহায়তা পেলে চাহিদা পূরণ করতে পারতাম। এজন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

কাপড় ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, আমাদের দেশে বৈশাখী শাড়ির যে চাহিদা তার বেশিরভাগ আমরাই পূরণ করি। আমাদের এখান থেকে গাউছিয়া, কুষ্টিয়ার পোড়াদহ, বাবুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসে আমাদের এখানে। সিরাজগঞ্জের তৈরি বৈশাখী শাড়ি দেশের প্রায় ৭০ ভাগ চাহিদা মেটাচ্ছে। শাড়ির দাম একটু বেশি। কারণ সুতা ও রঙের দাম একটু বেশি। এ কারণে লাভ কম হচ্ছে। এছাড়া শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও বেলকুচিতেও বৈশাখী শাড়ি তৈরি করা হয়।