শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যভিত্তিক চিন্তন সংস্থা (থিঙ্ক ট্যাংক) অ্যাম্বার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ এসেছে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো থেকে। অর্থাৎ দিন দিন বিশ্বজুড়ে বাড়ছে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার। খবর: রয়টার্স।
জ্বালানি তেলের মতো জীবাশ্ব জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বাতাসে প্রতিনিয়ত নিঃসৃত হচ্ছে কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্রিনহাউস গ্যাস, যা জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এ কারণে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার রোধ করাকে ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
নবায়নযোগ্য এ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনকে ‘রেকর্ড’ বলেও উল্লেখ করেছে অ্যাম্বার। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হার বেড়েছে। ২০২২ সালে বিশ্বে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ সরবরাহ এসেছিল বিভিন্ন নবায়নযোগ্য উৎস থেকে।
বর্তমানে যে গতিতে বিভিন্ন দেশে নবায়নযোগ্য উৎসের প্রকল্পগুলোর বিস্তার ঘটছে, তা অব্যাহত থাকলে চলতি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ব জ্বালানির ওপর নির্ভরতা অন্তত দুই শতাংশ কমবে বলে আশা করছে অ্যাম্বার। তারা বলেছে, এটি খুবই আশার কথা যে মানুষ এখন উপলব্ধি করতে পারছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বৈশ্বিকভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের যুগ শেষ হতে চলেছে। একসময় বিদ্যুতের জন্য মানুষ সম্পূর্ণভাবে নবায়নযোগ্য উৎসগুলোর ওপর নির্ভর করবে এবং সেদিন বেশি দূরে নেই।
গত বছর দুবাইয়ে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলন কপ ২৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সম্মেনে অংশ নেয়া সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে শতাধিক দেশ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎসগুলো থেকে বিদুতের উৎপাদন তিনগুণ বাড়াতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য উৎসগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে এগিয়ে চীন। ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে সৌর প্রকল্পগুলো থেকে উৎপন্ন মোট বিদ্যুতের ২৩ দশমিক ২ শতাংশ এবং বায়ু প্রকল্প থেকে উৎপন্ন মোট বিদ্যুতের ৯ দশমিক ৮ শতাংশ উৎপাদন করেছে দেশটি।
জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে উত্তরণের ফলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আর্থিক সাশ্রয়, জনস্বাস্থ্যের ওপর অনুকূল প্রভাব, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ভর্তুকি হ্রাস প্রভৃতি সুবিধা রয়েছে বলে অ্যাম্বারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।