Print Date & Time : 9 August 2025 Saturday 10:51 pm

বোয়ালমারীতে সুস্থ হলেন ১৪ করোনা রোগী

প্রতিনিধি, ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মোট ১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সকাল ১০টায় বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা নতুন ১৪ জনকে সুস্থ ঘোষণা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়পত্র দিয়েছে। এর আগে উপজেলায় দুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আমিনুর রহমান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান ও চতুল ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু উপস্থিত থেকে তাদের ছাড়পত্র দেন।

করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীরা হলেনÑউলু কান্ত (৬২), আরতি রায় (৬০), তাপস কুমার রায় (৫৫), অসিত রায় (৫০), শিখা রায় (৪৫), সুকুমার রায় (৪৪), সাগরিকা রায় (৪০), হাসি রানী (৩৬), ইতি রায় (২৬), তš§য় রায় (২৫), বিজন রায় (২০) ও তমা রায় (১০)। এর ১২ জন চতুল ইউনিয়নের ধুলপুকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা এবং অন্য দুজন ঘোষপুর ইউনিয়নের পাইকহাটি গ্রামের আশা রানী দাস (৫৫) এবং রূপাপাত ইউনিয়নের বনমালীপুর গ্রামের কামরুল শেখ (৪৫)। তারা করোনা আক্রান্ত হয়ে সবাই নিজবাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

কামরুল শেখ জানান, ‘আমি প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে শোকরিয়া আদায় করছি এবং হাসপাতালের ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাদের বাড়িতে এসে চিকিৎসা সেবা ও দেখভাল করায় আমরা দ্রুত সুস্থ হয়েছি।’ তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাই ঘরে থাকার চেষ্টা করুন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান জানান, ধুলপুকুরিয়া গ্রামের এক ব্যক্তি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার সৎকার করা হয় ধুলপুকুরিয়া গ্রামে। একদিন পর তার স্ত্রী শিখা রায়ের করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসে। সৎকারে সংস্পর্শে আসা গত মাসে দুবার ওই ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের আরও ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

তিনি বলেন, আক্রান্তদের বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ৩১ মে সবার নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ১৪ জনকে ছাড়পত্র দিয়ে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই উপজেলায় আক্রান্ত ৪৭ জন রোগীর মধ্যে ১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গেছেন দুজন। সুস্থ হওয়া রোগীরা নজরে থাকবেন বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ জানান, করোনায় আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সুস্থ হওয়া রোগীদের বাড়ি থেকে লকডাউন উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।