নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড নতুন একটি কাগজের কারখানা কিনছে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে গতকাল এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এক চিঠিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) বিষয়টি জানিয়েছে সোনালী পেপার। কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণের খবরে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ দেখা গেছে। দিনশেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের কার্যদিবসের তুলনায় প্রায় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়েছে।
ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সোনালী পেপারের প্রতিটি শেয়ার ১৫৯ টাকা ২০ পয়সায় সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে। এর আগের কার্যদিবসের তুলনায় প্রায় ১০ টাকা ৮০ পয়সা বেশি।
তথ্যমতে, ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপারের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে নতুন কারখানা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। পরিচালনা পর্ষদের সভায় চালু রয়েছে এমন কাগজের কারখানা খুঁজতে বলা হয়েছে। নতুন কারখানা কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের জোগানোর বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) বিনিয়োগকারীদের মতামত নেবে কোম্পানিটি।
আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ আর্থিকবছরে প্রায় ২৭৮ টাকা আয় করেছে সোনালী পেপার। এর আগের আর্থিক বছরে ছিল প্রায় ২৪৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানিটির আয় প্রায় ২৯ কোটি টাকা বেড়েছে। এ সময়ে কোম্পানিটির আয় প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। এরই জের
ধরে সর্বশেষ সমাপ্ত আর্থিক বছরে ১২ কোটি টাকা কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। এর বিপরীতে বিনিয়োগকারীদের ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।
তথ্যমতে, কাগজ ও প্রকাশনা খাতের সোনালী পেপারের অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ৩২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। দেশের কাগজের বাজারে সোনালী পেপারের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির কারণেই আয় বেড়েছে কোম্পানিটির। বাজারের চাহিদা পূরণের জন্য এবার উৎপাদন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে সোনালী পেপার। এজন্য আরও একটি চালু কাগজ কারখানা কিনতে চায় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। এর অংশ হিসেবেই পর্ষদের সভায় বিষয়টি ওঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, সোনালী পেপারের মোট ৩ কোটি ২৯ লাখ শেয়ারের ৬৭ দশমিক ৫১ শতাংশ-ই উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে রয়েছে। এর বাইরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।