নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জমি, ভবন ও মূলধনি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে এসএস স্টিল লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। একই সঙ্গে সদ্য সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে পরিচালকদের ব্যতীত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ আর সব বিনিয়োগকারীদের জন্য আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩১ পয়সা। ৩০ জুন ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৫৮ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে দুই টাকা এক পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর।
এর আগে কোম্পানিটি ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য দুই শতাংশ নগদ (উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত) এবং আট শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৫ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৪৮ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে দুই টাকা ৪৬ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর চার দশমিক ৪৪ শতাংশ বা এক টাকা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২১ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ২১ টাকা ৫০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ছয় কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৮০০টি শেয়ার মোট এক হাজার ৯১৯ বার হাতবদল হয়। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৩ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ১৩ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।
প্রকৌশল খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩০৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৮৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৩০ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৭৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং বাকি ৫৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।