Print Date & Time : 5 September 2025 Friday 3:37 pm

ব্যাংকঋণের ৮৪০৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ

নিজস্ব প্রতিবেদক:নয়টি ব্যাংক গত বছর চার হাজার ৬২১ গ্রাহকের অনুকূলে আট হাজার ৪০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার সুদ মওকুফ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর মধ্যে এক হাজার ৬২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা কার্যকর হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গতকাল রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এদিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

মুস্তফা কামাল বলেন, তফসিলি ব্যাংকের মূলঋণ (আসল) মওকুফ করার কোনো সুযোগ নেই। তফসিলভুক্ত রাষ্ট্র মালিকানাধীন ছয়টি ব্যাংক (অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ ডেডেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড, বেসিক ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, রূপালী ব্যাংক লিমিটেড ও সোনালী ব্যাংক পিএলসি) এবং তিনটি বিশেষায়িত ব্যাংক (বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক) রয়েছে। ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্যদ ২০২২ সালে চার হাজার ৬২১ গ্রাহকের অনুকূলে আট হাজার ৪০৪ কোটি ৫২ লাখ টাকার সুদ মওকুফ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। ২০২২ সালে ব্যাংকগুলোর এক হাজার ৬২০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশে কার্যত তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য সুদ মওকুফ-সংক্রান্ত নীতিমালা জারি আছে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী তফসিলি ব্যাংকের আসল ঋণ মওকুফ করার কোনো সুযোগ নেই।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রাহকের অনুকূলে সুদ মওকুফ সুবিধা প্রদান করতে পারে। ঋণ আদায়ের স্বার্থে গ্রাহকের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়া হয়। বন্ধ প্রকল্প থেকে ঋণ আদায়, ঋণের জামানত, সহ-জামানত, প্রকল্প সম্পত্তি এবং প্রকল্প উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রির পরেও পাওনা আদায়ের সম্ভাবনা না থাকলে সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়া হয়। পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে আইনগত ব্যবস্থাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরেও পাওনা আদায় না হলে সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়া হয়। ঋণগ্রহীতার মৃত্যু অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদীভাঙন বা দুর্দশাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাকে সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়া হয়।

উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলোয় সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়ার সময় ব্যাংকের তহবিল ব্যয় আদায় নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর সুদ মওকুফ-সংক্রান্ত সুবিধার সঙ্গে কোনো ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান অর্থমন্ত্রী।