নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংকার ও অফিস সহায়কদের ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী এপ্রিল থেকে তা ধাপে ধাপে কার্যকর করার শর্ত ব্যাংকগুলোও মেনে নিয়েছে। কিন্তু এ বেতন কাঠামোর কার্যকারিতা নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট দাখিল করেছেন এক আইনজীবী। বিষয়টি সমাধানের জন্য উচ্চ আদালত চারজনকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন উচ্চ আদালত। গতকাল রুলজারি ও অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেয়া হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী ও বিনিয়োগকারী ফরহাদ বিন হোসেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এএম মাসুম ও সাইফুর রহমান রাহী, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যাংকারদের সর্বনি¤œ বেতন নির্ধারণ করে গত ২০ জানুয়ারি এবং পরে সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে আমরা গত ৩ ফেব্রুয়ারি রিট করি। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে ওই সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। পাশাপাশি চার অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন। তারা মতামত জানাবেন আসলে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের সার্কুলার জারি করতে পারে কি না।’
তিনি বলেন, ‘আদালতে আমাদের বক্তব্য ছিলÑবাংলাদেশ ব্যাংক হলো বেসরকারি ব্যাংকের রেগুলেটরি অথরিটি। তারা ম্যানেজমেন্ট পলিসিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে, কিন্তু স্যালারি নির্ধারণ তারা করে দিতে পারে না। একেকটা প্রতিষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্ন স্যালারি স্ট্রাকচার। এখানে তো তারা হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’
এদিকে আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য চার অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন। তারা হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও প্রবীর নিয়োগী। অপরদিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্যাংকারদের জন্য সর্বনি¤œ বেতন ২৮ হাজার টাকা বেঁধে দিয়ে গত ২০ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।