Print Date & Time : 5 August 2025 Tuesday 8:39 pm

ব্যাংক লেনদেনে অনিয়মে পাঁচ বছর সাজার বিধান হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক লেনেদেনে অনিয়মের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইনে সায় দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে গতকাল ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটলমেন্ট সিস্টেমস আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংকে পেমেন্ট ও সেটেলম্যান্ট নিয়ে কোনো প্রিসাইজ আইন ছিল না। কিছু বিধি দিয়ে পরিচালিত হতো। পাশাপাশি ডিজিটাল লেনদেন সুরক্ষায় এ আইন নিয়ে আসা হয়েছে।

খসড়া আইনে ৪৭টি ধারা রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চেকের মাধ্যমে লেনদেন ও ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তরের বিধান আনা হয়েছে। পেমেন্ট সিস্টেম পরিচালনার ন্যূনতম মূলধন, পর্ষদ গঠন ও ব্যবস্থাপনা, মালিকানা ও পরিচালনা, পরিদর্শন ব্যবস্থাপনা ও সেবাদানের নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে।

চেক ও ইলেকট্রনিক তহবিল স্থানান্তর ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইলেকট্রনিক মুদ্রা ইস্যু-সংক্রান্ত বিধানও যুক্ত করা হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান। তিনি বলেন, ‘খসড়া আইনে কিছু বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। কীভাবে লেনদেন হবে, পরিশোধ হবে, পরিচালনা হবে এবং সেবা কীভাবে দেয়া হবেÑসেগুলো ৪ ও ৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে। ৪ ধারার বিধান (কেউ) লঙ্ঘন করলে (আদালত) তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দিতে পারবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইনের ৩৮ নম্বর ধারায় বিভিন্ন রকমের অপরাধের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ব্যাংক ও কোম্পানির মাধ্যমে গৃহীত বা সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে এ কোম্পানির মালিক, পরিচালক, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের পদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অপসারণের বিধান ৩৯ ধারায় রাখা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য বা দলিল বা বিবৃতি দিলে অনধিক তিন বছরের কারাদণ্ড, অনধিক ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড হতে পারে। গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণে ফি আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্ষমতা ও দায়িত্ব প্রিসাইজ করে দেয়া হয়েছে।

নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট নিয়ে এতদিন কোনো আইন ছিল না। ১৮৭২ সালের কন্ট্রাক্ট ল’র অধীনে কিছু রেগুলেশন ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, ট্রানজেকশন ও ব্যাংকিং অনেক বিস্তৃত হয়ে যাচ্ছে। এটা ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এগুলো বিধি-বিধানগুলোর মধ্যে ছিল না। সেজন্য পুরো পদ্ধতিগুলোকে আলাদা করে আইনে আনা হয়েছে।’ এতে অনলাইন ব্যাংকিং ও বিকাশ-নগদের মতো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেনও আইনি সুরক্ষা পাবে বলে তিনি জানান।