ব্যানারে এমপির নাম না থাকায় আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ

প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া ও ব্যানারে সংসদ সদস্যের নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মমিন মন্ডল এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের বেলকুচি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এসময় দলীয় কার্যালয়ে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে উভয়পক্ষের সমর্থকরা।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলে দেওয়ার প্রস্তুতির সময় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকায় আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায় সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উভয় পক্ষকে দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে এমপি মমিন মন্ডলের ব্যাক্তিগত সহকারী সেলিম সরকার জানান, সকালে এমপি মহদয় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে দেখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে তার নাম নেই। তখন বিষয়টি দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে আশানুর বিশ্বাসের কিছু লোকজন কথাটি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এবং উভয়ের সমর্থকদের মাঝে সামান্য হাতাহাতি হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ করে। পরে আমরা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে কলেজ মোড়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করি ও উপজেলা অডিটোরিয়ারে আলোচনা সভায় অংশ নেই।

বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, আমরা নেতাকর্মীদের নিয়ে সকাল পৌনে ৭টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হই। সকাল ৭টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল আসার পর জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করি। এরপর আমরা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের পূর্বেই দলীয় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকায় তার লোকজন আমার ওপর চড়াও হয়। উত্তেজিত হয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলে এবং আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে।

সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএম হোসেন আলী হাসান জানান, আজকের এই দিনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।