Print Date & Time : 15 September 2025 Monday 3:56 am

ব্যালট পেপার ছাপা শুরু, ‘ঝামেলার’ ৪০ আসন শেষ ধাপে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর আসনভিত্তিক ব্যালট পেপার মুদ্রণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের এক সপ্তাহ আগে, অর্থাৎ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যালট পেপার মুদ্রণ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানিয়েছেন।

তবে আপলি নিষ্পত্তির পরও প্রার্থিতা নিয়ে যেসব আসনের প্রার্থীরা উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন, সেগুলো পরে মুদ্রণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে যেসব আসনে কোনো ‘ঝামেলা’ নেই, সেগুলোর মুদ্রণ শুরু করেছে কমিশন।

প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়ের পরদিন ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ।

এবার ৩০০ আসনে এক হাজার ৮৯৬ প্রার্থী রয়েছেন। নতুন করে কিছু প্রার্থী আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাচ্ছেন। তাদের নামও এ তালিকায় যুক্ত হবে।

নির্বাচন ভবনে গতকাল মঙ্গলবার ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের পরপরই আমরা ৩০০টি আসন থেকে প্রার্থীদের তালিকা পেয়ে গেছি। সে অনুযায়ী ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। তিনটি সরকারি প্রেসে ব্যালট মুদ্রণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেসব নির্বাচনী এলাকায় মামলা পেন্ডিং আছে, সেগুলোয় একটু পরে প্রিন্টিং যাবে।’

৪০টির বেশি আসনে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া বা বাতিল নিয়ে মামলা রয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বরে ব্যালট মুদ্রণ শেষ করতে চাই আমরা। সে আলোকে যেসব নির্বাচনী এলাকায় কোনো মামলা নেই, সেগুলো প্রথমে মুদ্রণ করা হবে আর যেগুলোয় মামলা রয়ে গেছে, যেমনÑহাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেতে পারে অথবা কারও প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে, সেক্ষেত্রে আগে মুদ্রণ করলে আবার মুদ্রণ করতে হতে পারে, আগেরগুলো বাতিল হয়ে যাবে। সেজন্য সেগুলো শেষে মুদ্রণ করা হবে।’

বিজি প্রেসের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যালট মুদ্রণের কাগজ কেনার জন্য তাদের ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

এবার ৩০০ আসনে প্রায় প্রায় ১২ কোটি ভোটার রয়েছে। ভোটারসংখ্যা যত, ব্যালট ছাপা হবে তত। ৩০০ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে গাজীপুর-২ আসনে। সেখানে ভোটার সংখ্যা সাত লাখ ৭৯ হাজার ৭২৬ জন। সবচেয়ে কম ভোটার ঝালকাঠি-১ আসনে, দুই লাখ ১২ হাজার ১২ জন।

অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ‘২৫ ডিসেম্বরের পরে জেলা পর্যায়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ব্যালট পাঠানো হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সেগুলো সংরক্ষিত থাকবে। নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর।  ভোটের দিন জেলা থেকে সব উপজেলায় ব্যালট পাঠানো সম্ভব হবে না। কারণ ভোটের আগের দিন কেন্দ্র অনুযায়ী ব্যালট সেট করতে হবে, বাছাই করতে হবে। সেগুলো আগেই পৌঁছাতে হবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে।’

নির্বাচনী সমগ্রী মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, স্ট্যাম্পও আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে।